অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লায় শিশু নাবিলাকে ধর্ষণ ও হত্যার পরদিন তার জানাজায় অংশ নিয়েছিল ঘাতক তুষার। মরদেহ উদ্ধারের সময়ও সে ঘটনাস্থলে অবস্থান করেছিল। কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কর্তৃক চাঞ্চল্যকর ওই মামলার রহস্য উদঘাটন করার পর ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ও আদালতে এমনই তথ্য দিয়েছে গ্রেফতারকৃত ঘাতক মেহেরাজ হোসেন তুষার। বৃহস্পতিবার বিকালে কুমিল্লার আমলী আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইরফানুল হকের আদালতে ১৬৪ ধারায় ঘটনার সাথে সে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডিবির ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে নাবিলা আক্তার(৪)কে একই এলাকার ডা: আলী আশ্রাফের ছেলে মেহেরাজ হোসেন তুষার (২০) একটি নিমার্ণাধীন ভবনে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় নাবিলা চিৎকার শুরু করলে তাকে গলা টিপে শ^াসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ ওই ভবনের একটি রুমে সিমেন্টের বস্তার নিচে গুম করা হয়। পরদিন স্থানীয়রা সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। ১৯ ডিসেম্বর এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। পরে মামলাটি ডিবিতে আসার ডিবির একটি টিম এলাকায় তদন্ত শুরু করে।
তদন্তে ঘাতক তুষারের সম্পৃক্তার প্রমান পেয়ে বুধবার বিকালে ডিবির ওসি নাসির উদ্দিন মৃধার নেতৃত্বে পরিদর্শক নাসির উদ্দিন সরকার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সহিদার রহমানএকটি টিম নিয়ে এলাকা থেকে ঘাতক তুষারকে আটক করে। ডিবির ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, বৃহস্পতিবার ঘাতক তুষারকে আদালতে হাজির করার পর সে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিতে জানায় ‘মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখে উত্তেজিত অবস্থায় নাবিলাকে একটি ভবনে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টায় চালায়। কিন্তু সে চিৎকার শুরু করলে তাকে হত্যা হয়। পরে ঠান্ডা মাথায় লাশ গুম করা, শোকাহত স্বজনদের সাথে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ও জানাজায় অংশ নেয়ার বিষয়েও সে চাঞ্চল্যকর জবানবন্দী দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই সহিদার রহমান জানান, স্থানীয়ভাবে তদন্ত ও আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দীতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি শিশু নাবিলা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার একমাত্র আসামী তুষার। তাই তদন্তে ঘটনার রহস্য উৎঘাটন হওয়ায় শিগগিরই আদালতে এই মামলার চার্জশিট প্রদান করা হবে।
Leave a Reply