1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগরের কমিটি ঘোষণা কেন্দ্র ঘোষিত কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পাল্টা কমিটি গঠন কুমিল্লা নগরীতে শ্যালিকার বসতজমি দখলের অভিযোগ! সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে রিসোর্স পার্সন পিএসসির সচিব ড. সানোয়ার জাহান ভূইয়া ফের ভর্তি পরীক্ষা চালু হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে কুমিল্লা মেডিকেলে পদযাত্রা ও বৈজ্ঞানিক সেমিনার কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন দিবস পালন স্ত্রীসহ সাকিব আল হাসানের ব্যাংক হিসাব জব্দ কুমিল্লায় জমজম ট্রাভেলস্ বিডি’র প্রি-হজ্ব সেমিনার অনুষ্ঠিত ১২ রানে শেষের ৭ উইকেট হারিয়ে লজ্জাজনক হার বাংলাদেশের

বিপিএলের প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো কুমিল্লা

  • প্রকাশ কালঃ মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯
  • ১১৭০

অনলাইন ডেস্ক:
মোটামুটি মাঝারি মানের দল গড়েও এবারের বিপিএলের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল মুশফিকুর রহীমের চিটাগং ভাইকিংস। নিজেদের শহর চট্টগ্রামে আসার আগে খেলা ৭ ম্যাচের মধ্যে ৬টিতেই জিতে সবার আগে প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল তারা।

কিন্তু চট্টগ্রামে এসেই যেন ছন্দ হারাল স্বাগতিকরা। ঘরের মাঠে হেরে বসেছে পরপর তিন ম্যাচ। মঙ্গলবার তাদের পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। একইসঙ্গে ৭ উইকেটের জয়ে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফও ( সেমিফাইনাল) নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে তাদের।

চট্টগ্রাম পর্বে ঘরের দল চিটাগং ভাইকিংস যেখানে তিন ম্যাচ খেলে জেতেনি একটিতেও, সেখানে নিজেদের দুই ম্যাচে অপরাজিত থেকেই প্লে-অফের টিকিট পেয়ে গিয়েছে কুমিল্লা। ১০ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে তারা উঠে গিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। সমান ম্যাচে ৬ জয়ে টেবিলের তিন নম্বরে অবস্থান চিটাগংয়ের।

মঙ্গলবার বৃষ্টির বাঁধায় ম্যাচ শুরুতে হয়েছে বিলম্ব, শুরুর পরেও ম্যাচ থেমেছে বারদুয়েক। বৃষ্টি এবং স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারণে আগের তিন দিন রানবন্যা হওয়া উইকেটে আজ মেলেনি রানের দেখা। যে কারণে এক ওভার কমে আসা ম্যাচে চিটাগং করতে পেরেছে মাত্র ১১৬ রান। পরে সে রান তাড়া করতে কুমিল্লাকেও খেলতে হয়েছে ১৭তম ওভার পর্যন্ত।

রান তাড়া করতে নেমে দেখেশুনে শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং এনামুল হক বিজয়। কিন্তু পঞ্চম ওভারে নিজের উইকেট খুইয়ে বসেন বিজয়। ১৩ বল থেকে ৮ রান করতে পারেন তিনি।

তবে শামসুর রহমান শুভকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ম্যাচের মোড় নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নেন তামিম। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের দুজন মিলে ৫৪ বলে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। ৩ চার ও ২ ছক্কার মারে মাত্র ২২ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন শুভ।তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন তামিম। মাঝে অধিনায়ক ইমরুল ১ ছক্কার মারে ৮ রান করে আউট হন। থিসারা পেরেরার সঙ্গে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করেন তামিম। ৪টি চারের সঙ্গে ২ ছক্কার মারে ৫৪ রান করেন তিনি। ১ ছক্কার মারে ১০ রান আসে থিসারার ব্যাট থেকে।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো একশর নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু শেষদিকে তিনটি করে চার-ছক্কার মারে ২৫ বলে ৪৩ রান করে দলের মুখরক্ষা করেন মোসাদ্দেক। শেষপর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রানে থামে চিটাগংয়ের ইনিংস।আর্দ্র আবহাওয়া আর ভেজা পিচে রান করতে রীতিমত ধুঁকেছেন চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানরা। ১৭ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে মুশফিকুর রহীমের দল। এরপর আর বড় পুঁজির পেছনে ছুটতে পারেনি।

বৃষ্টির পর খেলতে নেমে সাউফউদ্দিনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউ হন সাদমান ইসলাম। ওই ওভারেই শেষ বলে ইয়াসির আলিকেও এভিন লুইসের ক্যাচ বানান এই অলরাউন্ডার। দুজনই আউট হন শূন্যতে।

দলের ব্যাটিং ভরসা ও অধিনায়ক মুশফিক শুরুটা করেছিলেন ভালোই। তবে ৭ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৬ রানে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে দুর্দান্ত সুইংয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ।

এরপর ঝড় তুলতে যাওয়া নাজিবুল্লাহ জাদরান ৮ বলে ১৩ রান করে হন মেহেদী হাসানের শিকার। এরপর শহীদ আফ্রিদি ঝলক। ডেলপোর্ট (৬) আর সিকান্দার রাজাকে (৫) তুলে নিয়ে চিটাগংয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নটাও ভেঙে দেন পাকিস্তানি লেগস্পিনার।

একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন মোহাম্মদ শাহজাদ। ৩৫ বলে ২ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৩৩ রান করা এই ব্যাটসম্যানের প্রতিরোধটা ভেঙেছে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে। ১৩ ওভার শেষে ৭০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে আরো চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা।

অষ্টম উইকেট জুটিতে অফস্পিনার নাঈম হাসানকে সাথে নিয়ে খানিক লড়াই করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দুজন মিলে যোগ করেন ২২ রান। ১৭তম ওভারের শেষ বলে সরাসরি বোল্ড হওয়ার আগে ১৪ বলে ৪ রান করতে সক্ষম হন নাঈম।

তবে অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন মোসাদ্দেক। শেষদিকে তার ব্যাটেই মূলত একশ ছাড়ায় চিটাগংয়ের দলীয় সংগ্রহ। মোহাম্মদ সাঈফউদ্দীনের করা ১৮তম ওভারে দুই ছক্কার মারে ১৪ রান নেন তিনি। থিসারা পেরেরার করা শেষ ওভারেও দুই চারের মারে ১০ রান নেন মোসাদ্দেক।

শেষপর্যন্ত তিনি নিজে অপরাজিত থাকেন ৪৩ রান করে, দলের সংগ্রহকে নিয়ে যান ১১৬ রানে। কুমিল্লার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সাঈফউদ্দীন, ওয়াহাব রিয়াজ এবং শহীদ আফ্রিদি।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews