অনলাইন ডেস্ক:
দীর্ঘ পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আগামী ১০ ডিসেম্বর সোমবার বেলা ২ টায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনসমর্থন শূন্য, তাই একতরফা নির্বাচনের সমস্ত কলা কৌশল অবলম্বন করছে। আর এ কাজে সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন।সরকার নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘জনসভা উপলক্ষে আমরা পুলিশ কমিশনার ও সোহরাওয়াদী উদ্যানের কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি ১০ ডিসেম্বর সোমবার ঐক্যফ্রন্টের এই জনসভা সার্থক হবে, সাফল্য মণ্ডিত হবে।’
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা খবর পেয়েছি, আইন মন্ত্রণালয় জেলা দায়রা জজদের নিয়ে একটি সভা করেছেন। সেখানে আইন সচিব নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচনের পূর্বে তারা যেন বিএনপির কাউকে জামিন না দেয়।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গ্রেফতার বাড়াতে মনিটরিং সেলও খোলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বদলে আসন্ন নির্বাচনে আবর্জনাময় হয়ে উঠতে পারে।
রিজভী বলেন, গত ৮ দিনে ২ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে ধানের শীষের মধ্যে ২৭ জন প্রার্থী রয়েছে। ঢাকার হাইকোর্ট থেকে শুরু করে পুরান ঢাকার জজ কোর্ট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টসহ সারাদেশের জেলা পর্যায়ের আদালতগুলোর আঙ্গিনায় বিএনপির প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ঠাঁই নেই অবস্থা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জানে অন্যায় পথ ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে আটকে রেখে শেখ হাসিনা বসে বসে কষছেন নির্বাচনে কারচুপির অভিনব মহাফন্দি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সিইসি নুরুল হুদা কাজী রকিব উদ্দিনের পথেই হাটছে। নুরুল হুদা তার থেকেও কয়েকগুন এগিয়ে। ভাগিনাকে নৌকা মার্কার প্রার্থী করা হয়েছে নৈতিকতার মাথা খেয়ে
Leave a Reply