অনলাইন ডেস্ক:
শুনানির প্রথম দিনে বেশ কয়েকজন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আবার কয়েকজনের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আবেদন খারিজ হয়ে গেছে।এদের মধ্যে রয়েছেন আলোচিত অভিনেতা হিরো আলম।তিনি বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন।প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে হিরো আলমের আপিল নামঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর ফলে নির্বাচনে দাঁড়ানো হচ্ছে না তার।
আজ নির্বাচন ভবনে ৪৩ নম্বর সিরিয়ালে হিরো আলমের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আবেদনের শুনানি হয়। এ সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। নিজের প্রার্থিতা পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন তাঁর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন।
এর মধ্য দিয়ে হিরো আলমের নির্বাচন করা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল। তবে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেতে চাইলে হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন। তিনি আপিল করবেন কি না এ ব্যাপারে এখনো কিছু জানাননি।জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন হিরো আলম। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
গত রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলের ঘোষণা দেন।হিরো আলম সোমবার নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেন।আপিলের রায়ে হিরো আলমের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেল।মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় কষ্ট পেয়েছিলেন হিরো আলম। তার সেই কষ্ট আরও বাড়ল আপিলের রায়ে।
আপিল শেষে হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেছিন, ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিলের পেছনে কোনো কারণ নেই।ষড়যন্ত্র কী-এমন প্রশ্নে হিরো আলম সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেছিলেন, এ দেশের রাজারা চান না প্রজারা রাজা হোক। এমপি-মন্ত্রীরা চান না আমরা পাবলিক এমপি-মন্ত্রী হই। তারা সবসময় চান তাদের বউ, ছেলেমেয়ে ও উত্তরাধিকাররা এমপি-মন্ত্রী হোক।
তিনি বলেন, এ ষড়যন্ত্রকারীরা আমাকে এমপি হতে দেবে না। এ জন্য ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে রোববার নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন বলেন, ‘কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন নিলে তাকে তার নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের ১ শতাংশের স্বাক্ষর লাগে। তবে হিরো আলম ভোটারদের স্বাক্ষরসংবলিত যে তালিকা জমা দিয়েছেন, তা যাচাই করে দেখা গেছে-তিনি ভুয়া ভোটারদের তালিকা জমা দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১২ হাজার ৮৬। সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য তিন হাজার ১২১ জনের স্বাক্ষরই যথেষ্ট। আমি দিয়েছি তিন হাজার ৫০০ জনের স্বাক্ষর । কোনো অবস্থাতেই আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হতে পারে না।রাগে ও ক্ষোভে অভিমানী হিরো আলম বলেন, আমার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমার ক্ষমতা নেই বলেই মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।ইউটিউবে বিচিত্র অভিনয়, গান আর নাচ দেখিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন হিরো আলম। তার প্রকৃত নাম আশরাফুল আলম।আজ সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শামসুল হুদার আবেদনের শুনানির মাধ্যমে কমিশন এ কার্যক্রম শুরু করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা শুনানি করছেন।
এরই মধ্যে আবেদন করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন গোলাম মাওলা রনিসহ বিএনপির পাঁচ প্রার্থী।
Leave a Reply