নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা থেকে অপহরণ হওয়া রবিউল আউয়ালের (২৫) এখনো কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। অপহরণের পর ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ। গত ২৬ নভেম্বর রাত ১২টায় পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে জানায় স্বজনরা। উক্ত ঘটনায় সদর দক্ষিণ থানায় ২৭ নভেম্বর একটি নিখোজ ডায়েরী করে রবিউল আউয়ালের স্ত্রী মোসা: খাদিজা আক্তার(২৪) ডায়েরী নং-১৮০০। রবিউল আউয়াল চান্দিনা থানার গল্লাই গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে সে কুমিল্লা মহানগরীর ২য় মুরাদপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে।
জানা যায়, রবিউল আউয়াল অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডিএনএন-এ লেখা কপি পেস্ট ও লেখা সংশোধনের করে পোস্ট করতো মাসে ১২হাজার টাকা বেতনে। গত দুই বছর ধরে এই পেশায় নিয়োজিত রবিউল। অভাব অনটনের সংসারের অল্প শিক্ষিত ছেলেটি বেশি দূর লেখা পড়া করতে না পারলে ও সে লেখা কপি, পেষ্ট করার কাজে ছিল অভিজ্ঞ। বিভিন্ন নিউজ পোর্টালের সাইট থেকে লেখা কপি করে তা সংশোধন করে গুছিয়ে ডিএনএন সাইটে প্রকাশ করতো। যে সাইটে লেখা প্রকাশ করা হতো সেই সাইটের কর্তৃপক্ষ তাকে মাসে বেতন দিতো। তবে ঐ দিন ২৬ নভেম্বর তার ইন্টারনেট সংসোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ডোজ ইন্টারনেটকে ফোন দিলে তারা আসে এবং তাকে সংযোগ দেওয়ার কথা বলে বাসা থেকে ফোন করে নিয়ে যায়। বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাকে একটি হাইয়েক্স গাড়ীতে রেখে তার তথ্য মতে বাসায় এসে একটি ল্যাপটপ, একটি ডেস্কটপ নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা কান্নাকাটি করলে তাদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ভাষায় কথা বলে এবং গালমন্দ করে হুমকি দেওয়া হয় তাদেরকেও তুলে নিবে। পরের দিন সকালে বিষয়টি সদর দক্ষিন থানায় জানালে তারা একটি নিখোজ ডায়েরী করার পরামর্শ দেন এবং সেখানে একটি নিখোজ ডায়েরী করা হয়।
রবিউলের স্ত্রী খাদিজা জানান, আমাদের ইন্টারনেট কানেকশান কে বা কাহারা কেটে দেয়। পরে ইন্টারনেট কানেকশনের জন্য ডোজ ইন্টারনেট কোম্পানীতে ফোন দিলে তারা লোক পাঠায়। তাদের লোক এসে আমার স্বামীকে ফোন করে এবং বলে তারা ইন্টারনেট কানেকশান দিতে এসেছে। আমার স্বামী নিচে গেলে তারা আমার স্বামীকে সেখান থেকে গাড়ীতে নিয়ে যায় এবং পরে আমার বাসায় এসে আমাদের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কম্পিউটার নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় টাকা গুলো ফেরত দিয়েছে।
রবিউলের মা ডলি জানান, আমার ছেলেকে পুলিশের পরিচয় দিয়ে নিয়ে গেছে চারদিন পেরিয়ে গেল কিন্তু তার কোন সন্ধান পাইনি। কুমিল্লা ডিবি অফিস, র্যাব অফিস সহ অনেক জায়গায় খুজেছি কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারেনি। আমার ছেলে কি অবস্থায় আছে আমি জানিনা। আমার ছেলে কোন অন্যায় করে থাকলে তার বিচার হউক কিন্তু তাকে কোথায় নিয়ে গেল তা জানতে পারিনি।
উক্ত ঘটনায় সদর দক্ষিন থানার রবিউল নিখোজ ডায়েরীর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শ্যামল বড়–য়্ াজানান, আমাদের থানায় নিখোজ ডায়েরী হওয়ার পর থেকে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি । আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
সদর দক্ষিণ থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
Leave a Reply