(এমএ কাশেম ভূঁইয়া,হোমনা)
আমি কখনো ক্ষমতা বা টাকার লোভে রাজনীতি করি নাই। আল্লাহ আমাকে টাকা-পয়সা, সম্মান-সম্পত্তি অডেল দিয়েছেন। কিন্তু আমি ধনি হলেও আমার অঞ্চলের মানুষগুলো যখন অসহায় দেখছি, তখনই আমার সাধ্যমত তাদের খেদমত করতে শুরু করেছি। এভাবেই যখন জনগণের খুব কাছে পৌছে গেছি; তখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্ণধার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডেকে নিয়ে তাঁর দলে কাজ করার কথা বললেন এবং হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বানালেন। তারপর অনেক ইতিহাস।
জনগণের নিঃশ্বার্থ ভালবাসায় দু-দুবার আমি হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হই। দলের দুর্দীনে দীর্ঘ ২২ বছরেরও বেশি সময় নিজের পরিবার ও সন্তানের মতই আগলে রেখেছি নেতাকর্মীদের। পেয়েছি তাদের ভালবাসাও অনেক। তারই সুবাধে তিনবার মনোনয়নও পেয়েছিলাম, একবার স্থগিত হয়ে যায়, পরের বার নির্বাচন করে হোমনা উপজেলায় বিজয়ী হলেও তখন তিতাস উপজেলার সাথে নতুনভাবে আসনটি সম্পৃক্ত হওয়ায় অল্পকিছু ভোটের ব্যবধানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক কৃষিমন্ত্রী এমকে আনোয়ারের সাথে হেরে যাই। তবে গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যখন হোমনা-তিতাসে নৌকার বিজয়ের পাঞ্জেরী আলোক জ্বালিয়ে হাতছানি দিচ্ছিল তখনই দলের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে ফেলি।
সেবার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিতাসের কৃতি সন্তান আমির হোসেন ভূঁইয়া এমপি নির্বাচিত হয়। একাদশ নির্বাচনে সকল প্রকারের জড়িপ আমার পক্ষে থাকলেও ভাগ্য আমাকে সহায়তা করেনি। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন আমাকে না দেয়ায় কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনের নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষসহ সর্বদলীয় নেতাকর্মীদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ আমাকে কাঁদিয়েছে। এ কান্না তাদের ভালবাসার সহজাত। তাই আমি হোমনা-তিতাসবাসীর জন্য নির্বাচন করবো। জনগণ তাদের ভালবাসা ও শ্রদ্ধার মানুষকে বিজয়ী করবে বিশ্বাস করি।
সোমবার এক সাক্ষাতকারী হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ উপরিউক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি তার ভক্ত অনুসারীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আমার কোন বাহিনী নেই। আপনারাই সকলেই আমার বাহিনী। আপনার নিশ্চিন্তে মাঠে কাজ করুন। আপনাদের যে আবেগ ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও রাস্তা-ঘাটে, দোকান পাটে দেখিয়েছেন, সেভাবেই আপনার বিশ্বাসের মানুষকে বিজয়ী করতে নিরন্তর কাজ করুন। ইনশাল্লাহ আমরাই বিজয়ী হবো।
Leave a Reply