( জাগো কুমিল্লা.কম)
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি সংসদীয় আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ৪৮ আসনের মধ্যে কুমিল্লা সদর ৬ আসনের তালিকায় থাকলেও লটারীর মাধ্যমে কুমিল্লা নাম উঠেনি।
এই সব আসনের সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। শহর ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দৈবচয়নের মাধ্যমে এইসব আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সামনে দৈবচয়নের মাধ্যমে এই ছয়টি আসন নির্ধারণ করা হয় । আসন গুলো হলো ঢাকা ১৩, ঢাকা-৬, চট্টগ্রাম ৯, রংপুর -৩, খুলনা ২, সাতক্ষীরা ২।
নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, এই ছয়টি আসনে পূর্ণ ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
৩৫টি রাজনৈতিক দল ও অংশীজনরা ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করা সত্ত্বেও কেন ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি কমিশনের সিদ্ধান্ত। ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় যেহেতু বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে, মানুষ অনেক শিক্ষিত হয়েছে।
সামনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনাও আছে। বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছি। সবদিক বিবেচনা করে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ থেকে আর সরে আসার সুযোগ নেই।
এর আগে কমিশনার মাহবুব তালুকদার ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেছিলেন। আজকের বৈঠকে তার ভূমিকা কী ছিল, তিনি কি সম্মতি দিয়েছেন- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এর বিরোধিতা করেননি। তাই ধরে নিতে হবে তার সম্মতি আছে।
এত প্রস্তুতি, এত বাজেট, এত প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও কেন ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছয়টি আসন কিন্তু কম নয়। গড়ে যদি প্রত্যেকটি আসনে ১৫০টি কেন্দ্র হয়, তাহলে প্রায় ৯শ কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
এই ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের জন্য কত জনবল লাগবে- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন যেসব আসন নির্ধারণ করা হবে, সেসব আসনে কতগুলো কেন্দ্র আছে, সবকিছু বিবেচনা করেই জনবল নির্ধারণ করা হবে।
তিনি জানান, এই ছয় আসনে ইভিএমের পাশাপাশি ব্যালট বাক্স ও পেপার রাখার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার ও হরয়ানির বিষয়ে কমিশন বৈঠকে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়েছে কি-না এই প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আগামীকাল রোববার কমিশন বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
যে বিষয়গুলো আসছে সেগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, অভিযোগগুলো কমিশনে লিখিতভাবে করা হয়েছে তা ইসির সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই বিভিন্ন মিডিয়ায় আসছে। কমিশন মনে করে আগামীকালের বৈঠকের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
যে ৪৮টি আসন থেকে ৬টি আসন নির্ধারণ করা হয়-
ঠাকুরগাঁও-১, দিনাজপুর-৩, নীলফামারী-২, লালমনিরহাট-৩, রংপুর-৩, গাইবান্ধা-২, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, নওগাঁ-৫, রাজশাহী-২, পাবনা-৫, কুষ্টিয়া-৩, খুলনা-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, ভোলা-১, বরিশাল-৫, টাঙ্গাইল-৫, জামালপুর-৫, শেরপুর-১, ময়মনসিংহ-৪, ঢাকা-৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ ,১৩, ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮, গাজীপুর-২, নরসিংদী-১ ও ২, নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫, ফরিদপুর-৩, মাদারীপুর-১, সিলেট-১, কুমিল্লা-৬, ফেনী-২ এবং চট্টগ্রাম-৯, ১০ ও ১১ এ আসনগুলোর মধ্যে দৈবচয়নের মাধ্যমে ছয়টি বেছে নেয়া হয়।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১০ ডিসেম্বর।
Leave a Reply