অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার সময় তোলা দুই তরুণের ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। ঘটনার এক দিন পর অবশেষে তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, ওই দুইজনই ছাত্রদলের কর্মী। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে যোগাযোগ করা হলে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার মিশু বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি, পুলিশের গাড়িতে যে যুবক আগুন দিয়েছে তার নাম শাহজালাল খন্দকার। তিনি পল্টন থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।’
একই ঘটনার সময় পুলিশের গাড়ির ওপর যে যুবককে লাফাতে দেখা গেছে, তিনিও ছাত্রদলের পল্টন কমিটির সদস্য। তবে তার নাম প্রকাশ করেননি তিনি। তবে ওই দুজনকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি বলেও জানিয়েছে পল্টন থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মনোনয়ন কেনাবেচার তৃতীয় দিন বুধবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে দলটির নেতাকর্মীরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে পুলিশের সঙ্গে। নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে এসময় টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিএনপি নেতাকর্মীরা আগুন দেয় পুলিশের দু’টি গাড়িতে।
এর আগে, ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ওই তরুণ গুলশান থানা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক অপু বলে কোনো কোনো অনলাইন নিউজ পোর্টালে খবর প্রকাশ করে। তবে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া তরুণ ছাত্রলীগের কেউ নয়।
ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসাইন বলেন, গুলশান থানা ছাত্রলীগে অপু নামের কোনো নেতা নেই। কমিটিতে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন মাহাবুবুর রহমান মিথুন। বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের দোষ ছাত্রলীগের ঘাড়ে চাপাতেই এমন মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে গুলশান থানা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মিথুন গতকাল ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, এটা পুরোপুরি মিথ্যাচার। কেবল ছাত্রলীগকে হেয় করতেই এমন ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply