(আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়, বুড়িচং )
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার জগতপুর গ্রামের ধানের জমি থেকে নুরজাহান (৭০) নামে এক বৃদ্ধ মহিলার লাশ উদ্ধারকৃত হত্যার আসামী পুত্রবধু রুবি(৩৫)কে আটক করেছে পুলিশ। বুড়িচং থানার এস আই কামাল উদ্দিন জানান,৩ নবেম্বর শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় হত্যার আসামী রুবি আক্তারকে ওই জগতপুর গ্রাম থেকে গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। আকটকৃত রুবি আক্তার নিহত নূরজাহান বেগম এর ছেলে অলি আহমেদের স্ত্রী। এ হত্যার আরো ২জন আসামী পলাতক রয়েছে। তারা হলেন নূরজাহানের পুত্র অলি আহমেদ(৪৫) ও নাতী মো:হৃদয়(১৯)।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার জেলার বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগতপুর মধ্যপাড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুরজানের ৪ ছেলে আবদুল হক, কাইয়ুম, অলি আহাদ, সাহরীয়ার হোসেন লিটনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। তারা ৪ ভাই বিয়ে সাদী করে আলাদা আলাদা সংসার করেছে। অপর দিকে তাদের মা নুরজাহান একাকি বসবাস করত। তার স্বামী তাকে আলাদ কিছু জমি দিয়ে গেছেন। সেই জমিতে চাষাবাদ করিয়ে নিজের খাবার দাবারে ব্যবস্তা করতেন এবং মেয়েরা তার দেখাশোনা করত। ১ নভেম্বর সকাল বেলা পার্শ্ববর্তী বাড়ীর জাকিরে হোসেন ধানের জমিতে কীটনাশক ঔষধ দেওয়ার জন্য ধানের মাঠে গিয়ে দেখতে পায় একটি মহিলার লাশ উপুর ফেলে রাখা হয়েছে। তখন সে আসে পাশের লোকজনকে খবর দিলে। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক বুড়িচং থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল রির্পোট তৈরী করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের মেয়ে পারভীন জানান, গত ১ নভেম্বর বিকাল ৪টায় তার মা নিজের বাড়ীতে যায়। পরবর্তীতে সকাল বেলায় ভাইয়ের মেয়ের মাধ্যমে জানতে পারে তার মাকে কে বা কারা হত্যা করে ধানের জমিতে ফেলে রেখেছে। সে আরোও জানায় তার বৃদ্ধা মা একাকি বসবাস করতেন। ১০/১২ দিনে আগে সে তার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সে দিন কে বা কারা তার মায়ের ঘরে হানা দিয়ে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। সেই দিন হয়তো তাকে ঘরে পেলে হত্যা করত। তাছাড়া জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাইদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। তার মায়ের নামে কিছু জমি রয়েছে।
সে তার মায়ের হত্যাকারীদের দৃষ্ঠান্তমূলক বিচারের দাবী জানায়। বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান,ঘটনার খবর পেয়ে ওসি তদন্ত এবং এস আই কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত সাপেক্ষে একটি সুরত হাল রিপোর্ট তৈরী করছেন। লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং রুবি নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। এ হত্যার পিছনে যারা জরিত আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়াধীন অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply