( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার শুয়াগাজী বাজারের পল্লী চিকিৎসক জহির হোসাইন রবিবার কুমিল্লা নগরীর স্থানীয় এক কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করেন।
পল্লী চিকিৎসক জহির হোসাইন র বলেন- আমি পল্লী চিকিৎসক জহির হোসাইন বিগত ৭/৮ বছর যাবত শুয়াগাজী বাজারে চেম্বার করে গ্রামের অসহায় ও সকল শ্রেণী মানুষের প্রাথমিক সেবা দিয়ে আসছি। গত ১৬ অক্টোবর কুমিল্লা হতে প্রকাশিত দৈনিক ডাক প্রতিদিন পত্রিকার ১ম পৃষ্টায় আমার (জহির হোসাইনের) বিরুদ্ধে রমরমা চিকিৎসা বাণিজ্য করার অভিযোগ তুলে শুয়াগাজী বাজারের কুচক্রী মহল সাংবাদিকদের দিয়ে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে, যাহা সম্পূর্ণই সাংবাদিকদের অজান্তে ছিলো।
আমি দু:খের সহিত সাংবাদিক ভাইদের বলতে চাই-আমি ক্ষুদ্র একজন পল্লী চিকিৎসক সে সুবাধে গ্রামের দরিদ্র মানুষকে প্রাথমিক সেবা দেওয়াই মুখ্য উদ্দেশ্য। গ্রামের একজন মানুষ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরলে সে প্রথমে কিন্তু স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে যান সেবা ও পরামর্শ নিতে। সে ক্ষেত্রে আমি গ্রামের লোকদের তাৎক্ষনিক সেবা ও পরামর্শ দিয়ে থাকি। যদি আমার পক্ষে সম্ভব না হয় সেবা দিতে, তখন আমি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি। আমি জহির হোসাইন এসএসসি পাশ করার পর তিন বছরের ডি.এম.এস. কোর্স সম্পন্ন করি। আমাদের কে গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় চিকিৎসক সহকারী হিসেবে স্বীকৃত দিয়ে থাকে। আমার বিরুদ্ধে কয়েকদিন পূর্বে সংবাদ প্রকাশ হয় যে- আমি নাকি পারসেনটিস পাওয়ার জন্য কুমিল্লা শহরের হাসপাতাল মালিকদের সাথে যোগ সূত্র হয়ে গ্রামের রোগীদের কে শহরের হাসপাতালে পাঠাই।
আমি বলতে কোন রোগী এসব বানোয়াট কথা বলতে পারবে না, এটা তাদের মুখে সাজে যারা আজ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অপপ্রচারকারীরা আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা রোগীদের পরামর্শ ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে যে মন্তব্য করছেন তাহা ঠিক নয়, যতই হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য আমাকে (পল্লী চিকিৎসক জহির কে) নিয়ে পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেন কোন রকম সফলতা আসবে না। আমি সাংবাদিকদের বলতে চাই শুয়াগাজী বাজারে একজন পল্লী চিকিৎসক হিসেবে গ্রামের হত দরিদ্র মানুষের কাছ হতে আমি কোন রকম ভিজিট নেই না, ফ্রি চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কারনে কিছু মহল আমার পিছনে উঠে পরে আছে। কুমিল্লার স্থানীয় সাংবাদিক ও সম্পাদকদের অনুরোধ করবো আমার বিরুদ্ধে কোন প্রকার সংবাদ পরিবেশন করার আগে আপনারা শুয়াগাজী বাজারে গিয়ে তা সরেজমিনে দেখে আসবেন।
আমি বলতে চাই- শুয়াগাজী বাজারে এমন অনেক চিকিৎসক আছেন যাদের এসএসসি পাশ করার সনদ ছাড়া অন্য কোন প্রকার ডাক্তারী সনদ নেই, তাহারা কিভাবে মাথা উচু করে নামের পূর্বে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করে গ্রামের মানুষের সাথে প্রতারনা করছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিবেচনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে আমার বিশ্বাস। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত থাকেন-সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাবুল চন্দ্র শীল, কাজল মিয়াসহ অন্যান্যরা।
Leave a Reply