(আবু সুফিয়ান রাসেল, কুমিল্লা)
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরে এ হাসপাতালে ব্যবহৃত হয়ে আসছে একটি মাত্র সরকারি এম্বুলেন্স। গতমাসে যুক্ত করা হয়েছে আরো একটি এম্বলেন্স। ৫০০ শয্যার এ হাসপাতালে গড় রোগী ভর্তি থাকে প্রায় ৮৫০ জন। কিন্তু ৮৫০ জন রুগীর জন্য মাত্র দু’টি এম্বুলেন্স কোন ভাবেই যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন রোগীর স্বজনরা।
ফলে হাসপাতাল আঙ্গিনায় প্রবেশ করে ব্যক্তিমালিকানা এম্বুলেন্স আর বহিরাগত এম্বুলেন্সের নাম করে হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান করে দালাল চক্রের সদস্যরা । সরকারি এম্বুলেন্সরে সেবা পেতে গুণতে হয় অতিরিক্ত টাকা ।
সরকারি ভাবে নির্ধরিত এম্বুলেন্স ভাড়া প্রতিকিলো মিটার ২০ টাকা (যাওয়া ১০, আসা ১০টাকা)। কিন্তু সরকারি চালকরা সে নিয়ম না মেনেই বিপদে পরা রোগীদের স্বজন থেকে আদায় করেন নিজেদের মন মত টাকা। সরকারি এম্বুলেন্স পেতে গুণতে হবে আতিরিক্ত টাকা বা পরিচিত কারো সুপারিশ লাগে।
সরেজমিনে দেখা যায় , কুমেক হাসপাতাল থেকে বরুড়া বাজার পর্যন্ত সরকারি এম্বলেন্সের দাবি করছেন ১,৫০০ টাকা কিন্তু সরকারি হিসাবে এ ভাড়া হওয়ার কথা ৩৮০ টাকা। কুমেক হাসপাতালে এমন চিত্র প্রতিদিনের । প্রতিনিয়ত মানুষ থেকে আদায় করা হয় কয়েকগুণ আতিরিক্ত টাকা।
যখন আবার কেউ প্রতিকিলো ২০ টাকা সরকার কতৃক নির্ধারিত , এ কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তখন চালকের শুরু হয় নানা অজুহাত। গাড়ি নষ্ট, গ্যাস কম এতদূর যেতে পারবো না, ভাড়া আছে বেসরকারি গাড়ি দেখেন, আমার এখন ভাড়া আছে ইত্যাদি। লাকসাম থেকে মা নিয়ে কাসেম জানান, ছয়দিন এখানে ভর্তি ছিল আজ বাড়ি নিয়ে যাব। সব এম্বুলেন্স ভাড়া বেশি চায়, আমারা যেহেতু বিপদে পরেছি বাধ্য হয়ে এখন বেশি টাকা দিতে হবে।
আতিরিক্ত ভাড়া কেন নেওয়া হয় ? এমন প্রশ্নের জবাবে চালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাস্তা ভাঙ্গা, গাড়ীর খরচ আছে। অফিসে টাকা টুকা জমা দিয়া দুই-একশ থাকলে এটা আমরা পাই।
এ বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালক ডাঃ স্বপন কুমার অধিকারি কলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সরকারি এম্বুলেন্সের ভাড়া প্রতিকিলো ১০টাকা । এ নোটিস লাগিয়ে দিয়েছি। যেহেতু ড্রাইবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে, আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Leave a Reply