( জাগো কুমিল্লা.কম)
ইনজুরি, অসহনীয় আবহাওয়া, সুপার ফোর রাউন্ডের বিতর্কিত সূচি ও বিতর্কিত আম্পায়ারিংসহ একের পর এক প্রতিকূলতা পেরিয়ে এশিয়া কাপে শেষ বলের বেদনাদায়ক পরাজয় সত্ত্বেও সকলের হৃদয় জয় করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
শনিবার (২৯ সেপ্টেস্বর) রাত ১১টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন এশিয়া কাপে তিনবারের ফাইনালিস্টরা।
বিমানবন্দরেই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে। সেখানে লিটনের স্ট্যাম্পিং বিতর্কিত আউট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে।এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) জরিমানার ভয়ে কিছুই বলতে চাইলেন না তিনি, পাছে আবার জরিমানা গুনতে হয়। কেননা, শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে স্লো ওভার রেটের কারণে না-কি ইতোমধ্যেই জরিমানা গুনেছেন!শুধু বললেন, দেখেন, এমনিতেই ওভার রেটের কারণে ম্যাচ ফি’র ৪০ শতাংশ জরিমানা দিয়েছি। আর জরিমানা দেওয়ার ইচ্ছে নেই।
কী হয়েছিল ওই ম্যাচে?
ইনিংসের ৪১তম ওভারের ঘটনা। কুলদীপ যাদবের শেষ বলটি পা বাড়িয়ে খেলতে গিয়েও ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি। বল চলে যায় উইকেটের পেছনে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে। আর লিটনের পেছনের পা বেরিয়ে আসার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্রুত বেলস ফেলে দেন ধোনি।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল করা হয় থার্ড আম্পায়ার রড টাকারের কাছে। তিনি বেশ কয়েকবার স্টাম্পিংয়ের মুহূর্তটি দেখেন। সব বিশ্লেষণেই দেখা যায়, স্টাম্প ভাঙার আগেই লিটনের পা লাইন স্পর্শ করে। এমনকি তার পা মাটিতেই ছিল।এরপর লিটনের পায়ের অবস্থান ম্যাগনেটিক গ্লাস দিয়েও পর্যবেক্ষণ করা হয়। এমনকি স্টাম্প ক্যামেরা দিয়ে দেখানো হয়। সেখানেও স্পষ্ট দেখা গেল, লিটনের পা লাইন স্পর্শ করার পরই স্টাম্প ভেঙে দেন ধোনি।
আর টেলিভিশনের ধারাভাষ্যে বারবারই মুহূর্তটিকে ক্লোজ বলা হচ্ছিল। কেননা বেনিফিট অব ডাউট, ক্রিকেটীয় আইনে যেটা সবসময় ব্যাটসম্যানের পক্ষেই যায়। লিটনের পায়ের অবস্থান ম্যাগনেটিক গ্লাস দিয়েও পর্যবেক্ষণ করা হয়।
কিন্তু সব নিয়মকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়ার আম্পায়ার রড টাকার লিটন দাসকে আউট ঘোষণা করেন । আর থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে স্টাম্পড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা লিটন। আউট হওয়ার আগে ১১৭ বলে ১২ চার ও দুই ছয়ে ১২১ রান করেন ডানহাতি এই ওপেনার।
Leave a Reply