( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজারের সৈয়দপুর এলাকায় নাজিরা বাজার ফাঁড়ী পুলিশের টহল গাড়ীর (সিএনজি) ওপর ইয়াবা সম্রাট ও একাধিক মামলার আসামী ছিনতাইকারি পারভেজ এর নেতৃত্বে হামলা ভাংচুর ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানা যায়, বুধবার রাত ১১টায় টায় সৈয়দপুর স্কুল রোডের বেজবাড়ি মোড়ে হঠাৎ নাজিরা বাজার পুলিশ ফাঁড়ির টহল সিএনজিতে হামলা করে স্থানীয় প্রায় ৪০/৪৫জন যুবক।
মুখে রুমাল বেধে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রাস্তার মোড়ে যুবকদের দাড়িয়ে থাকতে দেখে ফাড়ির টহল দল গাড়ী দাড় করায়। পুলিশের পোশাক দেখেই সন্ত্রাসী দলটির সকলে হঠাৎকরে মারধর শুরু করে এবং পুলিশ সদস্যদের বহনকরা গাড়িটিকে কুপিয়ে ভাংচুর করে আগুন জ্বালীয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।
এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় এএসআই বেলাল ও কনস্টেবল রবিউল আহত হয়। পুলিশ সদস্যরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিত হামলা ঘাবড়ে যায়। এসময় সন্ত্রাসীদের মারধর থেকে বাঁচতে পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষায় দুরাউন্ড গুলি চালিয়ে কোন রকমে প্রাণে রক্ষা পান বলে জানান ।
খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক নাজিরা বাজার ফাঁড়ি পুলিশের আইসি মাহমুদ হাছান রুবেল অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেজবাড়ি এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী পারভেজের গাড়িতে টেকনাফের দুই নারী ইয়াবা ব্যবসায়ী আছে জানতে পেরে মহাসড়কে তার গাড়িটিকে সিগন্যাল দেয়।
এসময় গাড়ীত রুগী রয়েছে বলে সিগন্যাল অমান্য করে চলে যায়। এরপর ডিবি পুলিশ সদস্যরা মাদক ব্যবসায়ী পারভেজকে খুঁজছে বলে জানতে পারে পারভেজ। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে।
সন্ধ্যার পর পারভেজ তার ৪০/৪৫ লোক ও অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জড়ো হতে থাকে সৈয়দপুর বাজারের পাশে। প্বার্শবর্তী ডুবাইরচর এলাকার ডিবির গাড়ি চালক ইয়াসিন ও ডিবির টিমকে মারার জন্য তৈরী হওয়ার সময় পুলিশের গাড়ীটি ঘটনাস্থল এলে হামলা চালায় পুলিশের উপর। অতর্কিত হামলায় ২ পুলিশ সহ সিএনজি চালক আহত হয়। এবং পুলিশের ট্হল গাড়িটি ভাংচুর করা হয়।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেজবাড়ির লিটন মিয়ার ছেলে চান্দিনা ও বিভিন্ন থানায় ছিনতাই ডাকাতি সহ বিভিন্ন মামলার আসামী মাদক সম্রাট পারভেজের নেতৃত্বে জুম্মন, বকুল, রাব্বি, ফয়সাল, রাকিব, হেলাল , শামিম, ইমন, জামাল, রবিউল, ইউনুস, হাবিব, বাদল, ফরহাদ, হান্নান, সবুজসহ সৈয়দপুর সহ বিভিন্ন এলাকার ৪০/৪৫ জনের বিশাল মাদকসেবী, ছিনতাইকারীদের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী এই হামলা চালায়। এঘটনার পর এলাকার লোকজন ও স্থানীয় দোকানদারা আতংকিত হয়ে পরেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাজিরা বাজার ফাড়ি পুলিশের আই সি ইন্সপেক্টর রুবেল জানান, ঘটনার পরপরই এলাকায় অভিযান চালিয়ে হামলাকারীদের একজনকে আটক করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। বাকী আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এবিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনাটি জানতে পেরে স্থানীয় চেয়ারম্যান হাজী সেকান্দর আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
Leave a Reply