( জাগো কুমিল্লা,কম)
এখনো সংসদ নির্বাচনে তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। তবে ধরে নেয়া হচ্ছে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের যে কোনো দিন হবে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন। সে হিসেবে দেশের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে এখনও তিন মাস বাকি।
সূত্র মতে, জাতীয় নির্বাচনে প্রাথমিক পর্যায়ে সম্মিলিত জাতীয় জোট নিয়ে একক ভাবে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে এগোচ্ছে জাপা। সেই লক্ষ্যে ৩০০ আসনেই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হচ্ছে।তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট হলে এই তালিকা সত্তরের ঘরে নেমে আসবে। কুমিল্লার ১১টি আসনের মধ্যে ২টি আসন পাচ্ছে শরিক দল জাতীয় পার্টি। এ দু’টি হচ্ছে কুমিল্লার বরুড়া ও হোমনা-তিতাস। বরুড়া আসনে মহাজোটের মনোনয়ন পাচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন এবং হোমনা তিতাস আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আমীর হোসেন।
কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি আলহাজ্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক নরুল ইসলাম মিলন একান্ত সাক্ষাৎকরে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে আমি রাজনীতিতে এসেছি। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত, ১৯৭৩ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলাম। বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর পর বিভিন্ন কারণে আমি পল্লীবন্ধু এরশাদের রাজনীতিতে যুক্ত হই। আমি ব্যবসায়ীক নয়, রাজনীতি করে আজ এই পর্যন্ত এসেছি।
বরুড়া আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে কোন্দল তথা একাদিক প্রার্থী, কিন্তু জাতীয় পার্টি প্রার্থী আমি একক। যদি একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মহাজোট হিসাবে নির্বাচন করে কিংবা একক হিসাবে নির্বাচন করে আসা করি কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনে আমি পাবো মনোনয়ন। কারণ, ২০০৯ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি মহাজোট থেকে মনোনয়ন পেয়েছি কিন্তু বিভিন্ন কৌশলে আমার মনোনয়ন কেড়ে নিয়েছে আওয়ামীলীগের নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল।
পরে আমি মহাজোট হিসাবে তাকে সহযোগিতা করি। সহযোগিতার কারণে নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল সংসদ সদস্য হতে পেরেছে। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করি। ওই নির্বাচনের সময় হরতাল, অবরোধ, ভোট কেন্দ্র জ্বালা-পৌড়া, কেন্দ্র দখল ও আতংকের কারণে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল। সে সময় আমি ৫০ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই।
তিনি আরও বলেন, বরুড়া যে ইউনিয়নেই যাচ্ছি, ভোটার-রা আগামি একাদশ সংসদ নির্বাচনে আমাকে চাচ্ছে। কারন, আগে কোন সংসদ সদস্য আমার মত উন্নয়ন করতে পারে নাই। আমি বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, ব্রীজ, মসজিদ, মাদ্রাসা এবং বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন করি। আমি রাজনীতি করি জনগণের জন্য অন্যরা রাজনীতি করে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য। আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে আমার নির্বাচনি এলাকায় সপ্তাহে ২/১ দিন সময় দিয়ে থাকি আর অন্য দলের নেতারা ৬/৭ মাস পর ১ দিন সময় দিয়ে চলে যায়। আমার রাজনীতির বয়স ৫০ বছর। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, বিবিন্ন কলেজের অধ্যাপক ছিলাম।
অধ্যাপক নরুল ইসলাম বলেন, একজন রাজনীতি ব্যক্তি পারে সমাজ ও দেশের পরিবর্তন ঘটাতে। আগামি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৮ বরুড়া আসনে মহাজোট কিংবা জাতীয় পার্টি থেকে হোক আমি নির্বাচন করব, ইনশাআল্লাহ। সূত্র: নতুন কুমিল্লা
Leave a Reply