( জাগো কুমিল্লা.কম)
চট্টগ্রাম সদরের আলকরণ এলাকায় শশুরবাড়ি থেকে ২০১৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে কুমিল্লার আফসানা আক্তার শান্তার (২৮) মরদেহ উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। ঘটনার পর পালিয়ে যায় তার স্বামী শাহ আলম মিঠু। শান্তার মৃত্যুর পর এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে শান্তার হত্যাকান্ড এখন আত্মহত্যায় রূপ নিয়েছে। এমন অভিযোগ শান্তার পরিবারের। নিহত শান্তার ৬ বছরের কন্যা সন্তান মুশফি ও মা-বাবা বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। শান্তার মৃত্যুর পর তার স্বামী দীর্ঘ সময় পলাতক থাকলেও এখন প্রকাশ্যে ঘুরছে। শান্তার মা-বাবার দায়ের করা হত্যা মামলাটিও এখন হিমাগারে।
ওই সময় পুলিশ নগরীর আলকরণ এক নম্বর গলির আব্দুস সামাদের বাড়ির দ্বিতীয় তলার ১৮ নম্বর বাসা গিয়ে খাটের উপর শান্তার মরদেহ দেখতে পায়। তবে ফ্যানের সাথে ঝুলে ছিল একটি ওড়না। শান্তার মৃত্যুর পর স্বামী পালিয়ে যায়। তবে শান্তার একটি পা ফুলা ছিল।
শান্তার মৃত্যুর পর ঘাতক স্বামীর বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় একাধিকবার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হলেও ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
শান্তার বাবা বেলাল হোসাইন জানান,মৃত্যুর ৭ বছর আগে শান্তার সাথে মিঠুর বিয়ে হয়। সাংসারিক জীবনে শান্তাকে একাধিকবার মারধর করে আমার কুমিল্লার বাড়িতে পাঠিয়েছে মিঠু। ঘটনার দিন সকাল ৯ টায় শান্তার স্বামী পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশিরা শান্তার নিথর দেহ বিছানার উপর দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। মিঠু বড় মাদক ব্যবসায়ী। আমার মেয়ে তাকে বার বার এ পথ থেকে ফিরে আসতে বলেছে। এছাড়া সে পরকীয়ার সাথেও জড়িত ছিল। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করায় আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। ময়নাতদন্ত, চার্জশিট সব কিছুতে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে । এখন তারা বলছে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়নি, আত্মহত্যা করেছে। আমি সঠিক বিচার পাইনি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন-আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
Leave a Reply