( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লার বরুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজম উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘‘কুমিল্লার বরুড়ায় বিচারপ্রার্থীকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ফাসিয়ে দেওয়ার হুমকি” শিরোনামে বিভিন্ন মহলে অপপ্রচার। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে মহিলা পুলিশের ব্রেরাকে পাশে দাড়িয়ে প্রস্রাব করায় যুবককে ডেকে সতর্ক করে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রভাহিত করছে কথিত যুবলীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লক্ষিপুর ইউনিয়নের নলুয়া চাঁদপুর গ্রামের জনৈক দেলোয়ার হোসেন ও আবু বকর সিদ্দিক ২৩ আগষ্ট জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একই গ্রামের আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে বরুড়া থানায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বরুড়া থানার এস আই অলিউল্লাহ সরেজমিনে গেলে স্থানীয় সর্দার মাতব্বরা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংশার দায়ীত্ব নেয় বলে জানা যায়। মিমাংশা করতে ব্যার্থ হওয়ায় ২৮ আগস্ট রাত ৯: ৩০ মিনিটের সময় পুনরায় দেলোয়ার হোসেন ও আবু বকর সিদ্দিকসহ এলাকার কয়েকজন লোকজন নিয়ে বরুড়া থানার ওসি‘র সাথে দেখা করে বিষয়টি স্থায়ীভাবে সমাধানের লক্ষে সহযোগীতা চান।
এ বিষয়ে ওসির সহযোগীতার আশ্বাস পেয়ে সবাই ওসির কক্ষ ত্যাগ করে। এর কিছুক্ষন পর রাত অনুমান ১০: ১২ (৫৩ সেকেন্ড) মিনিটের সময় সিসি ক্যামেরায় জনৈক ব্যাক্তি মহিলা পুলিশের ব্রেরাকের সামনে দাড়িয়ে প্রস্রাব করার দৃশ্য ওসির নজরে পরে। তখন ওসি বরুড়া পুলিশ সদস্য রিয়াজকে পাঠিয়ে ঐ ভ্যাক্তিকে ডেকে কক্ষে নিয়ে এসে ভবিষ্যতে এধরনের অভদ্রজনিত কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করেন। এসময় স্থানীয় সাংবাদিক বিএম মহসিন ওসির কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন ঘটনার শুরু থেকে আমি ওসির কক্ষে নিউজ সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলছিলাম।
আবু বকরের অভদ্রজনিত দৃশ্যটি উভয়জনে সি সি টিভির ক্যামেরায় দেখি। পরে ওসি আবু বকরকে ডেকে এনে শাশিয়ে সতর্ক করে দেন। প্রকৃত ঘটনাটি সংবাদে আড়াল করা হয়।
এ বিষয়ে বরুড়া থানা ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, কথিত যুবলীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ও কয়েকটি অনলাইন ও সংবাদপত্রে ভুল্য তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার প্রচার করা হয়। শুরু থেকে পুরু বিষয়টি সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড রয়েছে। এ বিষয়ে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনী প্রক্রিয়া গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply