( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী পরিবহনে প্রাইমারী স্কুলের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় যাত্রীসেবা পরিবহনের চালক মোহাম্মদ সেলিম (৬০) ও হেলপার আবু জাফর (৩৫) কে আটক করেছে। তার আনুমানিক বয়স ৭ বছর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ি সড়কে চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় শিশুটিকে উদ্ধার করে। অতপর চালক ও হেলপারকে গণধোলায় দেওয়া হয়। চালকের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানতপুর গ্রামে। হেলপারের বাড়ি হচ্ছে বরিশালে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাজারুল জানান, দুপুরে কয়েকজন বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় বাস থেকে কোটবাড়ি রাস্তার মুখে নামেন। সেনানিবাস যাওয়ার জন্য আপেক্ষা করেছিলাম। তখন মহাসড়কের পাশে থেমে থাকা একটি বাস থেকে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পাই। তারপর বাসে উঠে দেখি মেয়েটির দুই হাত বেধে রেখেছে। তাকে ঘিরে রেখেছে চালক ও দুই হেলপার। এ সময় গনধোলায় দেওয়ার সময় একজন হেলপার কৌশলে পালিয়ে যায়।
সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ শুক্রবার সকালে মুঠোফোনে বলেন, প্রথমে মেয়েটির পরিচয় পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি মেয়েটির বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায়। তার পিতা-মাতা কুমিল্লায় আসছেন। তবে এ ঘটনায় চালক ও হেলপারকে আটক ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে মেয়েটি হবিগঞ্জ থেকে কুমিল্লায়ে কিভাবে আসল তা বিস্তারিত তদন্ত শেষে জানা যাবে।
Leave a Reply