নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাস্তায় বেরিক্যাড দিয়ে জিম্মি করে রেখেছে এলাকার কয়েকশ পরিবার। দীর্ঘ ষাট বছর খাস জমি দখল করে বাড়ীঘর করে বসবাসের পর চান্দিনা ভুমি অফিস সেটি উদ্ধার করে রাস্তা নির্মানের ব্যবস্থা করলেও রাস্তা নির্মানের ২ বছরের মাথায় সেই রাস্তায় আবার বেরিক্যাড দিয়েছে ভুমি দখলকারী প্রভাবশালী ঐ পরিবারটি। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে তখন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এ বিষয়ে লেখালেখি হলে প্রশাসনের নজরে পড়ে এবং খাসজমি উদ্ধার হয়। এই পরিবারটি সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তায় বেরিকেড দিয়ে মানুষকে জিম্মি করে এলাকায় প্রভাব খাটায়। গ্রামের মানুষকে হেস্তনেস্ত করে বলে দাবী এলাকাবাসীর।
কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার গল্লাই ইউনিয়নের মিরাখলা গ্রামে ৩১ শতক খাস জমি দীর্ঘ দিন যাবত ভোগ দখল করে আসছে প্রভাবশালী এই পরিবারটি। এই ব্যাপারে স্থানীয় মাইনুদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ২০১৬ সালের ২০ মার্চ সহকারী ভূমি কমিশনার চান্দিনা বরাবর খাস জমি উদ্ধার করে মানুষ চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য একটি আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে খাস জমি উদ্ধার হয় এবং রাস্তা নির্মাণ হলেও সেখানে নতুন করে বেরিক্যাড দিয়ে প্রায় ১০০পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে মাত্র একটি পরিবার।
২০১৬ মার্চ মাসে আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা ভূমি অফিসার মিয়া মোহাম্মদ কেয়ামউদ্দিন সার্ভেয়ার জান্নাতুল ফেরদৌসের মাধ্যমে নায়েব মো: দেলোয়ার হোসেনকে সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক সীমানা নির্ধাণের আদেশ দেন। গল্লাই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব দোলোয়ার হোসেন ম্যাপ অনুযায়ী সেখানে দুই দাগে ৩১শতক খাস জমি আছে বলে স্বীকার করেন এবং সীমানা নির্ধারণ করেন। নির্ধারণ শেষে সেখান থেকে ঘরবাড়ি সড়ানো নির্দেশ দিলে দখলকারীরা সড়িয়ে নিবে আশ্বাস দিলে ও দীর্ঘ ১ বৎসর পেরিয়ে গেলেও ঘরবাড়ী এখনো সড়ানো হয়নি।
জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি জানান, এই জায়গাটি দিয়ে আমরা দীর্ঘদিন চলাফেরা করি কিন্তু বাড়ীর ময়লা আবর্জনা এবং ঘরতুলে জায়গাটি দখল করার কারণে পূর্বে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে পারিনি। ভুমি অফিসের হস্তক্ষেপের পর দীর্ঘ ২ বছর রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করলে ও বর্তমানে তারা আবার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। আব্দুল আলিম, ছাত্তার ও মামুন এরা মিলে স্থানীয় এমপি’র প্রভাব দেখিয়ে এলাকায় এগুলো করছে আব্দুল আলিম। ভূমি অফিসের লোকজন এখানে এসে সীমানা পরিমাপ করে নির্ধারণ করার পরেও এই জায়গাটি দখলমুক্ত করেনি দেখলকারিরা।
এই ব্যাপারে গল্লাই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী মো: ফারুক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তখনকার উপজেলা ভূমি অফিসার মিয়া মোহাম্মদ কেয়ামউদ্দিন স্যারের নির্দেশে মিরাখলা গ্রামে সরেজমিনে সীমানা নির্ধারণ করতে গিয়ে দুইটি দাগে ৩১শতক খাস ভূমি পাই এবং সেইদিন খাস জমির সীমানা নির্ধারণ করি। সীমানা নির্ধারণের পর খাসজমি দখলকারীদের দখল ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করি কিন্তু দখলদাররা অদ্যাবধি দখল ছেড়ে দেয়নি। উক্ত ঘটনায় চান্দিনা ভূমি অফিসে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছি।
Leave a Reply