( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ভুল চিকিৎসায় নুরজাহান (২২) নামে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গৌরীপুর-হোমনা সড়কের পাশে আঙ্গাউড়ায় রংধনু হসপিটালের নামে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। নিহত নুরজাহান বেগম তিতাস উপজেলার বাগাইরামপুর গ্রামের ডালিম মিয়ার স্ত্রী।
জানাযায়, অন্ত:সত্বা নুরজাহানের প্রসব বেদনা উঠলে গত ২৪ আগস্ট শুক্রবার দাউদকান্দিও রংধনু হসপিটালে নিয়ে যায় তার স্বজনরা। ওইদিন রাতেই ডা. সিরাজুল ইসলামের এনেসথেসিয়ায় ডা. শাহনাজ পারভীন সিজারীয়ান অপারেশন করেন। পরদিন অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান রোগীর স্বজনরা।
২৬আগষ্ট রবিবার রাতে সেখানে চিকিৎনাধীন অবস্থায় মারা যায় নুরজাহান। নিহতের মরদেহ নিয়ে স্বজনরা সোমবার (আজ) সকালে ওই হসপিটালের সামনে জড়ো হয়ে হইহট্টোগোল শুরু করে। খবর পেয়ে গৌরীপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আ.স. ম. আব্দুর নুর ঘটনাস্থলে যান এবং মৃতের পরিবারকে ঘটনাটির যথাযথ তদন্তপূর্বক সঠিক বিচারের আশ্বাস প্রদান করেন এবং নিহত নুরজাহানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে প্রেরণ করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হসপিটালের মালিক মোঃ মকবুল হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
অপারেশনকারী ডা. শাহনাজ পারভীন বলেন,’ আমার অপারেশনে কোনরকম ক্রুটি নেই’। আমার দায়িত্ব কেবল সিজারিং করা। এর বাহিরের দায়ভার হসপিটাল কর্তৃপক্ষের’।
হাসপাতালের মালিক মুকবুল মিয়া ভুল চিকিৎসার অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে দাবি করে জানান, রোগীকে ভর্তি করার সময় প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
এছাড়া প্রসূতি প্রসবের পর তা কিছুটা বেড়ে যায়। কোন ভুল চিকিৎসার জন্য নয়, প্রকৃতির নিয়মেই প্রসূতির রক্তক্ষণ হচ্ছিল। সিজার করার পর রাতে রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ার সাথে সাথে ম্যাডাম (ডা. শাহনাজ) কে জানানো হয়। তখন রক্ত দিতে বলা হলে গ্রুপের রক্তদাতা না পাওয়ায় আমি নিজে রক্ত দেই। পরদিন ম্যাডামের পরামর্শে ঢাকা পাঠাই।
Leave a Reply