( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লায় চেয়ারম্যানের হাতে মাথা ফেটেছে নিরিহ এক দিনমজুরের। পাওনা টাকা চাওয়ায় পূর্ব জোরকানন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারিছের সাথে এই ঘটনার সূত্রপাত। ঘটনানাটি ঘটেছে সদর দক্ষিন উপজেলার পূর্ব জোরকানন ইউনিয়নের জগপুর গ্রামে। আহত দিনমজুর আনোয়ার হোসেন প্রকাশ আনা মিয়া (৬২) ঐ গ্রামের মৃত জুলফু মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে কুমেক হাসহাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং জানাগেছে তার মাথায় সাতটি সেলাই দিতে হয়েছে।
আহত আনা মিয়ার স্ত্রী নেহা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ১৫ আগস্ট চেয়ারম্যান হারিছের বড় ভাই সোলেমানের নিকট পাওনা টাকা চায় আনা মিয়া। সোলেমান ক্ষিপ্ত হয়ে আনা মিয়াকে পরে দেবে বলে জানালে আনা মিয়া গরিবের সাথে পারেন বলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি ও দস্তাদস্তির ঘটনা ঘটে। সোলেমান অপমানবোধ করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
বিষয়টি চেয়ারম্যানের সাথে সোলেমান শেয়ার করে । গতকাল ১৬ আগষ্ট দিবাগত রাত আনুমানিক ৮টায় আনা মিয়া বাড়ীর সামনে চা দোকানে বসেছিল। এ সময় চেয়ারম্যান আসে এবং গাড়ী থেকে নেমে প্রথমে লাথি মারলে আনা মিয়া নিচে পরে যায়। নিচ থেকে উপরে উঠতে চাইলে তাকে চেয়ারম্যানের হাতে থাকা টর্চলাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সেখানে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আনা মিয়া। কিছুক্ষন চেচামেচি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চেয়ারম্যান হারিছ। ঘটনাস্থল থেকে আনা মিয়াকে আহতের স্বজনরা দ্রুত কুমেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে ।
জোরকানন ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার বাচ্চু মিয়া জানান, গতকাল রাতে এই রকম একটি ঘটনা ঘটেছে আমাকে কেউ জানায়নি। সকালে চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে ডেকেছিল। আমার কাছে সে এই ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেছে এবং অনুতপ্ত হয়েছে। আনা মিয়ার চিকিৎসার জন্য ৫হাজার টাকা দিয়েছে। চিকিৎসার জন্য আরো যত টাকা লাগে চেয়ারম্যান সাহেব দিবে। ভুক্তভোগীরা যেভাবে সঠিক বিচার পেতে পারে তার জন্য চেয়াম্যান সাহেব নিজে উদ্যোগ নিবে।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান হারিছ মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গতকাল রাতে যে ঘটনাটি ঘটেছে এজন্য আমি দু:খিত। আমি তাকে টর্চলাইট দিয়ে ভয় দেখাতে চেয়েছিলাম কিন্তু কিভাবে একটু লেগে গিয়ে রক্ত এসেছে বুঝতে পারিনি। পরের দিন আমি স্থানাীয় ডাক্তারের নিকট পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছি কিন্তু আনা মিয়ার পরিবার নেয়নি। আনা মিয়া আমার বাড়ীতে দীর্ঘদিন কাজ করেছে।
Leave a Reply