(আবু সুফিয়ান রাসেল, কুমিল্লা)
কুমিল্লা জেলার সব চেয়ে বড় গরু ছাগলের হাট হিসাবে খ্যাত নেউরা বাজার। বাজারটি ১৯৮৬ সালে শুরু হয়। শহরের অদূরে হওয়ায় আর যাতায়াত ব্যাবস্থা ভালো থাকায় কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা সহ দেশের অন্যান্য জেলা থেকে আসেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। গরু ছাগলের পাশাপাশি ভেড়া, উট ও ঘোড়া ক্রয়-বিক্রয় হয়। শহরের নিকটবর্তী অন্যান্য বাজারের মধ্যে রয়েছে চৌয়ারা, সুয়াগাজী, পদুয়ার বাজার, বিজয়পুর, মির্শানি, বালুতুপা, চানপুরব্রীজ, একবাড়িয়া, বৌয়ারা,চাঙ্গীনি, নিমসার। গরু ব্যাবসায়ীরা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মিঠাপুকুর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, চট্টগ্রাম, চান্দিনা, ইলেটগঞ্জ সহ স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা এ বাজারে গরু ক্রয় বিক্রয় করে থাকেন। এ বছর খুঁটির পরিমান আড়াই হাজার, প্রতি খুঁটি তিনশত টাকা। ধারণা করা হয় এ বছর পনের হাজার গরু ক্রয়-বিক্রয় হবে। হাসিলের পরিমান ৩% নির্ধারণ করা হয়েছে তবে বাজার কমিটি জানান আমরা আরো সহনশীল ভাবে আলোচনা করে কম রাখি। প্রতি লাখে দেখা যায় ১৫০০-২০০০ টাকা রাখা হয়। আর ব্যাবসায়ীদের জন্য আলোচনা সাপেক্ষে।
স্থানীয় ব্যাবসায়ী মো. শাহাজান মিয়া জানান, বহু বছর গরু ব্যাবসা করি, তবে নেউরা বাজার এখনো বুঝে উঠতে পারলাম না। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত বেচা-কেনা হয়, দেখা যায় রাতে খুব দাম, সকালে বাজার ঠান্ডা। আবার দেখাযায় রাতে কেনা বেচা নাই, সকালে গরুর দাম বেড়ে যায়। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো, বিশ^রোড কাছে তাই সারাদেশ থেকেই ব্যাপারিরা আসে। বাজারের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিষয়ে বাজার কমিটির সদস্য মো. হোসেন ও নুরুজ্জামান সুজন বলেন, বাজারটি আর্মিদের। এ হিসাবে টমছমব্রীজ, রামনগর ও বিমান বন্দর ক্যাম্পের আর্মিরা থাকবে। কোতয়ালী, সদর দক্ষিণ ও ইপিজেড ফাঁড়ি পুলিশ থাকবে। সাদা পোষাকে গোয়েন্দা বাহিনী থাকবে, এছাড়াও আমাদের অর্ধশত সেচ্ছাসেবী কাজ করবে। আমাদের এ বাজারটি শতভাগ দালালমুক্ত, এ বিষয়ে এমপি বাহার সাহেব খুব কঠোর, দালালের বিষয়ে কোন ছাড় নয়।
বাজারের সুযোগ সুবিধা বিষয়ে বাজার কমিটি জানায়, সম্পূর্ণ কাদা মুক্ত পরিবেশ বৃষ্টি হলেও কাদা হবে না। ব্যাপারিদেও জন্য থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। গাড়ি রাখার জায়গা আছে, জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন, সার্বক্ষণিক বিদ্যুত ও সিসি ক্যামেরা থাকবে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা থাকবে। বাজারের দুই পাশে দুইটা এবং মাঝামাঝিতে দুইটা মোট চারটা হাসিল ঘর রাখা হয়েছে। ১৬ আগষ্ট বৃহস্পতিবার শুরু হবে, ঈদের দিন পর্যন্ত চলবে।
বাজারটি মূল সড়কে হওয়ায় ঢুলিপাড়া, নেউরা, রাজাপাড়া, নোয়াপাড়া, দিশাবন্দ, লইপুরা, দয়াপুর, লক্ষীনগর গ্রামের মানুষের শহরে প্রবেশে বাঁধা সৃষ্টি হয়। এ সড়কটি রাজগঞ্জ যাতায়াত, ইপিজেড প্রবেশ, সদর দক্ষিণ উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন দক্ষিণ অফিস ও কুমিল্লা মেডিকেল যাতায়াতের বিকল্প সড়ক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বিগত বছরগুলোতে সাধারণ মানুষকে নানা ভোগান্তিতে পরতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে বাজার কমিটির সদস্য নাজমুল হাসান চৌধুরী কামাল জানান, সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে, নতুন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে এ বছর বাজার চলবে। মানুষের কষ্ট হয়, এমন কোন কাজ আমরা করবো না। সড়কে যেন গাড়ি যাতায়াত করতে পারে এবং নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করা হয়, আমাদের ৫০ জন কর্মীকাজ করবে।
Leave a Reply