অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা পারভেজ হোসেন সরকারকে অপহরণের পর উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বাসায় ফেরার পথে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল।
পরিবারের সদস্যরা জানান, তুলে নিয়ে যাওয়ার পর রাত ১০টায় একটি মুঠোফোন থেকে পারভেজ সরকার তাঁর স্ত্রীকে জানান, তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। তিনি রাজধানীর ৩০০ ফুট এলাকায় আছেন। এখান থেকে তাঁকে নিয়ে যেতে বলেন। পরে পরিবারের সদস্যরা গাড়ি নিয়ে সেখানে যান।
কেনই বা তাকে অপহরণ করা হলো কেনই বা তাকে ছেড়ে দেওয়া হলো তা নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। একটি মহল দাবি করছে রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য পরিকল্পিত ভাবে এটি সাঁজানো হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন বলেন, তিনশ ফিট রাস্তায় রাত সোয়া ১২টার দিকে তাকে কে বা কারা রেখে যায়। এরপর তিনি পরিবারকে ফোন দিলে তারা সেখানে যায়। পুলিশকে তারাই খবর দেয়। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। তারপর বুঝতে পারবো, কারা তাকে অপহরণ করেছিল।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তিতাসের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল শিকদারের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই রাজনৈতিক ঝামেলা চলছে পারভেজ হোসেনের। ওই এলাকায় প্রোটোকল ছাড়া পারভেজ কখনও যাতায়াত করতেন না। গত বছর ওই এলাকায় সোহেল শিকদারের লোকজন পারভেজের ওপর হামলাও করেছিল। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিতাসের উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বেলা পৌনে ২টার দিকে এক ব্যক্তি তার বাসার সামনে কুশল বিনিময়ের জন্য হাত বাড়িয়ে দেন। পারভেজ মোবাইলের দিকে তাকাতে তাকাতে হাত মেলান। এরপর দুজনের মধ্যে একটু কথা হয়। এর মধ্যেই লম্বা চুলওয়ালা অপর এক ব্যক্তি পারভেজের পেছনে গিয়ে দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে ১৩ সেকেন্ড কথা হয়। এরপরই দুজন মিলে পারভেজকে টেনেহিচড়ে নিয়ে একটি কালো বিলাসবহুল গাড়িতে তুলে নেয় অপহরণকারীরা। এরপর দ্রুত তারা ওই এলাকা থেকে চলে যায়।
Leave a Reply