অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ‘চিহ্নিত’ বাকি ১৩ জন নজিরবিহীন ওই হামলার পর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হওয়ায় মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। সোমবার সকালে মিন্টো রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তারা ওই অভিযোগপত্র আদালতে পাঠিয়েছে। জীবিত আট আসামির মধ্যে ছয়জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন, বাকি দুজন পলাতক।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলো— নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শহিদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। এদের মধ্যে খালেদ ও রিপন পলাতক। বাকিরা বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।
অভিযোগপত্রে পলাতক দুই আসামি শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান সিটিটিসি প্রধান।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গি সন্ত্রাসীরা। জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় ডিবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার রবিউল করিম ও বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন খান নিহত হন। আহত হন আরও ৩০ জন পুলিশ সদস্য। রাতভর বেশ কয়েকজনকে বেকারির মধ্যে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে জঙ্গিরা। ২ জুলাই ভোরে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে জিম্মি সংকটের অবসান ঘটে। হামলায় অংশ নেয়া ছয় জঙ্গি অভিযানে নিহত হয়। হামলার পরদিন সকালে হলি আর্টিজান বেকারি থেকে গ্রেফতার নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের নাম এই অভিযোগপত্রে আসেনি। অভিযানে নিহত হলি আর্টিজানের পাচক সাইফুল ইসলামকে শুরুতে সন্দেহের তালিকায় রাখা হলেও তার সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ তদন্তকারীরা পাননি।
হামলায় অংশ নেয়া নব্য জেএমবির পাঁচ জঙ্গি নিবরাজ ইসলাম, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল নিহত হন ওই অভিযানে। এরপরে জঙ্গিবিরোধী বিভিন্ন অভিযানে হামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ তামিম চৌধুরী, জাহিদুল ইসলাম, তানভীর কাদেরী, নুরুল ইসলাম মারজান, আবু রায়হান তারেক, সারোয়ার জাহান, বাসারুজ্জামান চকলেট ও ছোট মিজানও নিহত হ
Leave a Reply