( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার শাকতলায় কুমিল্লা মর্ডাণ হসপিটালের ৫ম তলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালের বিশেষ সূত্রে জানা যায়- হাসপাতালের ৫ম তলায় রক্ষিত গ্যাস সিলিন্ডার রুমে নিয়মিত বসবাস করে আসছেন অত্র হাসপাতালের সুপারভাইজার ইসরাফিল মিয়া।
যেখানে মানুষের বসবাস, সেখানে ভয়াভহ সিলিন্ডার কিভাবে রক্ষিত থাকে ? তাই সাধারন মানুষের মুখে প্রশ্ন। জানা যায় যে-অব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ ভারসাম্যহীনতার কারনেই গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে ।
এদিকে কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার আলমগীর হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান- শুক্রবার সন্ধ্যার পরপরই শাকতলায় অবস্থিত মর্ডাণ হসপিটালের ৫ম তলায় অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। তথ্যটি পাওয়ার পরপরই আমি ও আমার সঙ্গীয় ফায়ারম্যান নিয়া হাসপাতালের ৫ম তলায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করি এবং আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
তবে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন- হাসপাতালের ৫ম তলায় অবস্থিত রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের চুলা হতে আগুন লাগে, ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই আমরা আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি, হাসপাতালের তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। মর্ডাণ হসপিটালটিতে গ্যাস সিলিন্ডারের অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় রোগীদের মাঝে আতংকের ছড়াছড়ি দেখা গিয়েছে।
মর্ডাণ হাসপাতালে আগুন লাগার সময় প্রায় রোগী ও রোগীর স্বজনরা তাড়াহুরা করে নামতে গিয়ে অসুস্থ হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। তবে অগ্নিদগ্ধ হাসপাতালটির আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার পর দু’একজন রোগী ছাড়া পুরো হাসপাতালটি’র চিত্র যেন শূণ্যের মত দেখা যায়, নাম প্রকাশ্যে অনুচ্ছক রোগী ও রোগীর স্বজনরা বলেন-হাসপাতালে আগুন লাগার পরপরই আমরা তাড়াহুরা করে নেমে যাই এবং আশ্রয়ের স্থান না পেয়ে হাসপাতালের পাশে আতœীয়ের বাড়িতে অবস্থান নেই। মর্ডাণ হাসপাতালটিতে আগুন লাগার ঘঁন া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানা যায়।
Leave a Reply