অনলাইন ডেস্ক:
নিজেদের মাটিতে জার্মানির বিপক্ষে হেরে গত বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপজয়ী দল ব্রাজিল। সেই হারকে শক্তিতে রুপান্তরিত করে দারুণভাবে অনুশীলন করে নেইমাররা। তাইতো চলতি বিশ্বকাপে অন্যতম শিরোপার দাবিদার পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র। দ্বিতীয় ম্যাচে কোস্টারিকার সঙ্গে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা গোলশূন্য। তখন ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনিরোর শিরদাঁড়া হিম হয়ে আসছে। বাড়িয়ে দেয়া হলো অতিরিক্ত ৬ মিনিটের খেলা। আর তাতেই বাজিমাত করে দিলেন প্রথমে ফিলিপ কোটিনহো। পরে নেইমার। অমনি সাম্বার দেশ ব্রাজিল নেচে উঠলো।
সাম্বাকে ছাড়িয়ে আরো যেন এক ধাপ এগিয়ে গেল তারা। প্রকাশ্য রাজপথে উন্মুক্ত বক্ষে নেমে পড়লেন যুবতীরা। তাদের শরীরের উপরের অংশে কোনো পোশাক ছিল না। তবে কোনোমতে জাতীয় দলের পতাকার রঙে রাঙানো ছিল। কিন্তু তাতে স্পষ্ট হয়ে ভেসে উঠেছিল শারীরিক গড়ন।
গোল হতেই এমন যুবতীরা গায়ের শার্ট খুলে ছুড়ে ফেলেন দূরে। উন্মাতাল জনতা তখন আনন্দে নাচছে। কারো দিকে কারো ভ্রূক্ষেপ নেই। আগের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের কাছে ১-১ গোলে ম্যাচ ড্র করায় ব্রাজিল ও দলটির ভক্তদের মধ্যে দেখা দিয়েছিল নানা শঙ্কা। যদি কোস্টারিকার সঙ্গেও তারা ম্যাচ ড্র করতো তাহলে হিম আতঙ্ক গ্রাস করতো ব্রাজিলকে। কিন্তু ডেডএন্ডে এসে সেই শঙ্কাকে আলোকিত করে ব্রাজিলকে খুশির জোয়ারে ভাসালেন কোটিনহো ও নেইমার। আর ওই দুই গোলের সুবাদে গ্রুপ ই-এর শীর্ষ দল এখন ব্রাজিল।
ওইদিন রিও ডি জেনিরোর রাস্তায় রাস্তায় বসানো হয় জায়ান্ট স্ক্রিন। তাতে দলবেঁধে খেলা দেখতে ঘরছাড়া হন ব্রাজিলিয়ানরা। যুবতীদের অনেকে উন্মুক্ত বক্ষে হলুদ ও সবুজ রঙ রাঙিয়ে নেমে আসেন রাস্তায়। মুহূর্তে মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় পাল্টে যায় রাজপথ। সাম্বার ব্রাজিল যেন কার্নিভাল বা উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়।
Leave a Reply