খায়রুল আহসান মানিক:
কুমিল্লায় সাড়ে ৪ হাজার কৃষকের ঘাড়ে সাটিফিকেট মামলার খড়গ ঝুঁলছে। কৃষি ঋণের টাকা শোধ করতে না পারা এসব কৃষকের অনেকের নামে ইতোমধ্যে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়েছে। গ্রেফতার হলেই মামলার জালে জড়াতে হবে তাদের। জেলার ১৭টি উপজেলার ৬টি ব্যাংকের শাখাসমূহ তাদের ১২ কোটি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা আদায়ে ৪৫ হাজারটি সাটিফিকেট মামলা দায়ের করে। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকের পক্ষ থেকে জেনারেল সাটিফিকেট অফিসার আদালতে এসকল ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
ব্যাংকওয়ারী খেলাপী ঋণের পরিমাণ ও সাটিফিকেট মামলার সংখ্যা হচ্ছে, সোনালী ব্যাংকের ৩০ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আদায়ে মামলা ১১১টি। জনতা ব্যাংকের ২৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা আদায়ে মামলা ১২০টি। অগ্রণী ব্যাংকের ২৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা আদায়ে মামলা ২০৩টি। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ১১ কোটি ৫২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা আদায়ে মামলা ৪ হাজার ৩১টি। রূপালী ব্যাংকের ২ লাখ ৩১ হাজার টাকা আদায়ে মামলা ২৩টি। কর্মসংস্থান ব্যাংক ১৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা আদায়ে মামলা ১২টি এবং বি আর ডিবি ৬১ হাজার টাকা আদায়ে ১২টি মামলা করেছে।
সোনালী ব্যাংক কুমিল্লা প্রিন্সিপাল অফিসের এসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার শাহিদা খানম বলেন, আমরা কৃষি/পল্লী ঋণ খাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বরাদ্ধকৃত অর্থই কৃষকের মধ্যে বিতরণ করে থাকি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা করে থাকি। এ ব্যাপারে আমাদেরকে জেলা – উপজেলা প্রশাসন সহায়তা করে থাকেন। ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারীকৃত সারকুলারে এর আলোকে ঋণগৃহিতাদের মামলা নিষ্পতির ব্যবস্থা করি। এ ক্ষেত্রে আমরা মানবিক দিকটিও বিবেচনায় রাখি। আমরা চাই ঋণ নিয়ে কেউ হেনস্থা না হন। ঋণগৃহিতাদের সাথে ঋণদাতার সুসর্ম্পক রাখতে আমরা সচেষ্ট থাকি।
Leave a Reply