(ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, কুমিল্লা)
নোয়াখালিতে কর্মরত পুলিশ দম্পত্তি সুমন ও তার স্ত্রী রোজিনার হাতে নির্যাতিত কিশোরী গৃহপরিচারিকা ফাতেমা (১৫) কুমিল্লা সদর হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ। মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯ জুন মঙ্গলবার রাতেই হাসপাতাল থেকে অদৃশ্য কারণে চলে গেছে আহত গৃহপরিচারিকা ও তার মা। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, মিডিয়ার সামনে থেকে ঘটনাটি আড়াল করার জন্যই তাদেরকে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৭ জুন ) সকালে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নির্যাতিত ফাতেমাকে ভর্তি করানো হয়। তার দুই হাত, দুই পাসহ শরীরের বেশিরভাগ অংশেই আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
আহত ফাতেমা কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়নের উলুরচর গ্রামের ভাড়াটিয়া দিনমজুর আজিম উদ্দিনের মেয়ে । পুলিশে কর্মরত সুমন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার মাটিয়ারা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
নির্যাতিত ফাতেমা জানায়, আমাকে ৮ মাস আগে পুলিশ সুমন সাহেব ও উনার স্ত্রী পুলিশ রোজিনা ম্যাডাম তাদের বাড়িতে কাজ করার জন্য নিয়ে যায়। আমাকে মাসে ২ হাজার টাকা করে দিতো। গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন উছিলা দিয়ে তারা দুইজন আমাকে মারধর করা শুরু করে। লাঠি, বাঁশ দিয়ে আমার সারা শরীরে মারধর করতো। কখনো চুরির অপবাদ দিয়ে , আবার কখনো কাজের অবহেলা দেখিয়ে দুজনে আমাকে মারধর করে। প্রায় প্রতিদিনই আমাকে মারধর করতো তারা দুজন। ঈদের দিন আমাকে আমার বাবা-মায়ের কাছে দিয়ে গেছে। পরে মা-বাবাকে সব খুলে বলেছি।
ফাতেমার মা জানান, অভাবের সংসার। তাই পরিবার চালাতে কষ্ট হয়। ৮ মাস আগে সুমন সাহেব আমার মেয়েকে নিয়ে যায় । মাসে মাসে ২ হাজার টাকা করে পাঠাতো। ঈদের আগের দিন তারা ফাতেমাকে এনে আমাদের কাছে দিয়ে যায়। পরে তার শরীরে আঘাত দেখে আমরা সুমন সাহেবের পিতা আবু তাহের সাহেবকে সব জানাই। পরে তিনি ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন আমাদেরকে ফাতেমার চিকিৎসা করানোর জন্য। পরে হাসপাতাল নিয়ে আসি।
হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ নার্স জানান, মেয়েটির পুরো শরীরে নির্যাতনের চিহৃ রয়েছে। খুবই গুরুতর আঘাত।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডাঃ মুজিবুর রহমান, মেয়েটিকে রাতে থেকে হাসপাতালের বেডে পাওয়া যায়নি। আমাদের অবহিত না করেই তারা চলে গেছে।- আজকের কুমিল্লা।
Leave a Reply