বছর ঘুরে আবারো ফিরে এলো খুশির ঈদ। তথ্য-প্রযুক্তির ছোয়ায় মানুষের জীবনমানে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। সে পরিবর্তনের ছোঁয়ায় পরিবর্তন এসেছে ঈদ উদযাপনেও। শৈশব কৈশোরের ঈদ উদযাপন করার আনন্দ প্রতিটা মানুষের কাছে একেবারে অতুলনীয় ছিল। কুমিল্লা সদর ৬ আসনের সংসদ সদস্য কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এর ঈদ উদযাপনের স্মৃতি রোমন্থন নিয়ে লিখেছেন মাহফুজ নান্টু:
আমি ছোট বেলা থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। যার কারণে ঈদের আনন্দটা আমার কাছে বাড়তি পাওনা মনে হতো। সেই শৈশব থেকে আমি আমার রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ উদযাপন করি। সব সময় ছোট বেলায় নিজের জন্য ঈদ ছিলো অনেক আনন্দের।
যেসব স্মৃতি আছে বেশিরভাগই রাজনৈতিক অঙ্গনের সাথে জড়িত। তবে সেসব ছাড়াও শৈশবে রমজানের শেষে পশ্চিম আকাশে এক ফালি বাকা চাঁদ দেখতাম তখন মনটা আনন্দে ভরে যেতো। দীর্ঘ একমাস রমজানের সময়টা ছিল অনেক মধুর,অনেক আনন্দের।
মনে পড়ে ছোট বেলায় ঈদের চাঁদ দেখলেই আমার উৎসব শুরু হয়ে যেত। কারণ চাঁদ দেখা যাওয়ার পরে আমি সকলের খোঁজ খবর নিতাম। আত্মীয় স্বজন আমার দলীয় নেতাকর্মীদের। ঈদগাহে ঈদের নামাজের পড়ে বন্ধুদের সাথে আমার নেতাকর্মীদের কোলাকুলি ছিলো অনেক ভালো লাগার। এখন তার পরিধি বেড়েছে।
এখন আমি সদর আসনের প্রতিনিধিত্ব করছি। এখন কুমিল্লাবাসী ও আমার দলীয় নেতা-কর্মীরা যখন ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করে তখন স্বাভাবিকভাবেই আমারও ঈদ উদযাপন হয়ে যায়। কারণ এ সাধারণ মানুষের জন্যই আমি রাজনীতি করি। ঈদ-পূজাসহ জাতীয় উৎসবগুলোতে সবাই যেন নির্ভাবনায় উদযাপন করতে পারি সেটাই আমার লক্ষ্য।
অতীতের তুলনায় এখন দেশের মানুষের সামর্থ্য বেড়েছে। সবাই খুব ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারছে, বিষয়টা অনেক আনন্দের। তবে আমার ছোট বেলার ঈদ বিষয়ে বলার আগে একটা বিষয় বলি। শৈশব পার হয়ে কৈশোরেই আমি রাজনীতির সাথে যুক্ত হই। আর তাই ব্যক্তিগতভাবে ঈদ উদযাপনে আমার স্মৃতি কম।
Leave a Reply