( জাগো কুমিল্লা.কম)
বছর ঘুরে আবারো ফিরে এলো খুশির ঈদ। তথ্য-প্রযুক্তির ছোয়ায় মানুষের জীবনমানে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। সে পরিবর্তনের ছোঁয়ায় পরিবর্তন এসেছে ঈদ উদযাপনেও। শৈশব কৈশোরের ঈদ উদযাপন করার আনন্দ প্রতিটা মানুষের কাছে একেবারে অতুলনীয় ছিল। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো:আবুল ফজল মীর এর ঈদ উদযাপনের স্মৃতি রোমন্থন নিয়ে লিখেছেন মাহফুজ নান্টু:
স্মৃতি শ্বাশত সুখের। আমাদের ঈদ আমাদের উৎসব। এখনো ঈদ করি আগেও ঈদ উদযাপন করতাম। পার্থক্য শুধু সময়ের। শৈশব-কৈশোরে ঈদ উদযাপন করতাম নিজের জন্য। এখন সবাইকে নিয়ে উদযাপন করি। এ বছর ঈদ উদযাপনে অনেক কিছু মিস করবো। দায়িত্বের কারণে এবার ঈদ করবো কুমিল্লায়। তবে বেশিরভাগ সময়ে আমি ঈদ উদযাপন করেছি আমার পরিবার পরিজনের সাথে।
একটু পেছনের দিকে গেলে বলতে পারি প্রতি বছর ঈদে আমি নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতাম। আমার পৈত্রিক নিবাস নরসিংদী জেলায়। ঈদের আগের দিন আমরা বন্ধুরা একসাথে হই। গত বছরও হয়েছি। আমাদের একসাথে হওয়ার কারণটা ছিলো সব বন্ধুরা মিলে চাঁদ রাতে সেলুনে গিয়ে মাথার চুল কাটা। খুব মজার বিষয়। গত বছরও সব বন্ধুরা একসাথে চুল কেটেছি। এ বছর সম্ভব আর হবে না। কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে এখানে এসেছি। এ কুমিল্লার মানুষদের সাথে এ বছর ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবো।
ঈদের স্মৃতি নিয়ে আমার বেশ মজার কিছু স্মৃতি বলি। ছোট বেলায় আব্বা ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ঈদের সালামি হিসেবে আমাকে চকলেটের বক্স দিতে। আমি সে বক্সটা ঈদগায়ে ঈদের মেলায় বিক্রি করতাম। সে টাকা দিয়ে বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়াতাম। আহ কি আনন্দ ছিলো। ঈদের জন্য কেনা নতুন পোষাক লুকিয়ে রাখতাম।
যেন কেউ দেখে না ফেলে। নতুন জামা ঈদের নামাজের আগে পড়ার আগে কেউ দেখে ফেললে পুরাতন হয়ে যাবে এমন একটা রীতি ছিলো আমাদের বন্ধুদের কাছে। ঈদের সালামী ঈদের নতুন জামা এগুলো আমাদের কাছে অনেক আনন্দের ছিলো।
এখন আমি আমার ছেলে-মেয়েদের মাঝে নিজের হারিয়ে যাওয়া শৈশব-কৈশোরের ঈদের আনন্দ খুঁজি। তাদের ঈদের সালামি ঈদের নতুন পোষাকের মাঝে নিজের গুলো মিলিয়ে দেখি।
Leave a Reply