নিজস্ব প্রতিবেদক:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত ছাত্র আম্মান ও শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে কুমিল্লার আদালতে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার ১৮ মার্চ সকালে তাদেরকে আদালতে নেওয়া হয়। এরআগে গতকাল রোববার রাতে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে দু’জনকে কুমিল্লায় নিয়ে যান।
এর আগে শনিবার রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী অফলাইনে ও অনলাইনে অবন্তিকাকে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে অভিযোগ করলে তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অবন্তিকাকেই নানাভাবে অপমান করে আসছিলেন।
অবন্তিকার সহপাঠীদের আন্দোলন ও আলটিমেটামের ফলে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে ডিএমপি পুলিশ আটক করে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে নিজের আত্মহত্যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেন অবন্তিকা।
ফেসবুকে পোস্টের পর কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও পিসি পার্ক স্মরণিকা ভবনে দ্বিতীয়তলায় নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তাৎক্ষণিক স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. আব্দুল করিম খন্দকার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে।
Leave a Reply