(মাহফুজ বাবু, বুড়িচং)
কুমিল্লা বুড়িচংয়ের নিখোঁজের দুইদিন পর ভারেল্লা কামিল মাদ্রাসার সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে সাত বছরের শিশু উম্মে হাবিবা মীমের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে ভারেল্লা গ্রামের সিএনজি চালক শরীফের মেয়ে। স্থানীয় একটি স্কুলের প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী ছিল । ঘটনাস্থল পুলিশ ও পিবিআইয়ের সদস্যরা ঘিরে রেখেছে।
শনিবার দুপুরে ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের ভারেল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে নিহত মীমের চাচা মাদ্রাসার দপ্তরি কইয়ুমকে (২১) আটক করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ ।
পারিবারিক সূত্র জানা যায়, বৃহস্পতিবার মীমকে মোবাইল টাকা পাঠানোর জন্য বাড়ি পাশে দোকানে পাঠানো হয়। তবে কয়েক ঘন্টা পার হলেও বাড়ি নাফেরায় আত্বীয় স্বজন মীমকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ শুরু করে ।
পরবর্তীতে মাইকিং ও থানায় নিখোঁজ ডাইরী করা হয়। শনিবার সকালে মীমের চাচা কইয়ুম ফোন করে পরিবারকে জানান, এক ফকির বাবা বলেছে মীমকে মেরে ফেলা হয়েছে। আশে পাশে খোঁজলে লাশ পাওয়া যাবে । পরবর্তীতে চাচা কইয়ুম নিজেই সিফটিক ট্যাংক লাশ পড়ে আছে বলে সবাইকে জানান এবং নিজেই বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে ।
নিহত মিমের দাদা আব্দুল মান্নান জানান, আমরা ধারণা করছি কইয়ুম পরিকল্পিত ভাবে আমার নাতনীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ সেফটিক ট্যাংকে ফেলে রেখেছে। কয়েকমাস আগেও সে মীমকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ।
ভারেল্লা দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান শাহ কামাল জানান, লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে আমি পুলিশ সুপার ও থানার ওসিকে জানিয়েছি। তারা এসে তদন্ত করছে। সাত বছরের নিষ্পাপ শিশু মীমকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই ।
দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মামুন বিষযটি নিশ্চিত করে জানান, এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড । ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছি। ময়নাতদন্ত শেষ জানা যাবে মীমকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে কিনা । লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরন করা হচ্ছে।
Leave a Reply