(আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়, বুড়িচং )
৩০ মে বুধবার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল পন্ড করে দেওয়ার বিক্ষোভ সভাতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কুমিল্লা-৫ সমন্বয়ক সাংবাদিক শওকত মাহমুদ বলেন, বিএনপির কাজে বাধা দিয়ে সরকার বার বার প্রমাণ করছেন তারা বিএনপিকে ভয় পায়। যারা ভয় পায় তারাই এমন করে থাকে। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ মোতাবেক আমরা আন্দোলনে নামবো, এ আন্দোলনে সফল করে আসবো না হয় লাশ হয়ে বাড়ি ফিরব। বিএনপির সকল নেতাকর্মীদেরকে এ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন। তিনি বলেন আমি ৭০টি মামলা নিয়ে আজ আপনাদের সাথে কথা বলছি। তাই আমরা মামলা হামলা বয়কট করে চলি না। আপনাদের পাশে আছি থাকবো।
এসময় বিক্ষোভ সভায় বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৭ শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বুধবার বিকেলে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে আয়োজন করা হয়। বুড়িচং উত্তর বাজারে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার স্থান নির্ধারণ করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক শওকত মাহমুদকে প্রধান অতিথি করা হয়। অনুষ্ঠানে বিষয়ে গত ৫ দিন পূর্বে বুড়িচং থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ জানায় লিখিত ভাবে জেলা পুলিশ সুপারের বরাবরে অবেদন করার জন্য। পরে উপজেলা বিএনপির প্যাডে অনুষ্ঠানে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। এই অনুযায়ী গত ২ দিন ধরে অনুষ্ঠানে আয়োজন সম্পন্ন করা হয়।
rসকাল থেকেই অনুষ্ঠান স্থলে প্যান্ডেল, চেয়ার-টেবিল সাজানো হয়। দুপুর আড়াইটায় বুড়িচং থানা পুলিশ অনুষ্ঠান স্থলে গিয়ে ব্যাপক তল্লাসী চালায় পরে প্যান্ডেল ভেঙ্গে দিয়ে অনুষ্ঠানের ব্যানার নিয়ে আসে এবং অনুষ্ঠান করার কোন অনুমতি নেই বলে যানিয়ে দেয়। পুলিশের বাঁধার খবরটি নেতা কর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পরে। বিকেল ৪ টায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ অনুষ্ঠান স্থলে আসে। অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ করতে না পেরে বুড়িচং উত্তর বাজার এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে এক বিক্ষোভ সভা করেন। r
এসময় শওকত মাহমুদ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা দ. জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বি-পাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সেক্রেটারী শাহ আলম খোকন, বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারী মোঃ কামাল হোসেন, সাবেক সেক্রেটারী মোঃ কবির হোসেন, সরকার জহিরুল হক মিঠুন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ীন কবির বাবুল, যুগ্মসম্পাদক আবু ইউসুফ তুহিনসহ উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ অভিযোগ পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের কাছে জানতে চাইলে বুড়িচং থানার ওসি তদন্ত (পরিদর্শক) মেজবাহ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, বিএনপির দুইটি গ্রুপ রয়েছে। তারা একে অপরের অভিযোগ দিয়ে থাকে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আশংকা ছিল । তাই আমরা জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা বাধা দিয়েছি।
Leave a Reply