আকিবুল ইসলাম হারেছঃ
কুমিল্লার চান্দিনায় নির্মানাধীন ভবনের ছাদে উচ্চমাত্রার বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মনি আক্তার (৭) নামে এক শিশু দগ্ধ হয়েছে।বুধবার(৮ জুলাই)উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের বড় কলাগাও গ্রামে আনোয়ার হোসেনের দ্বিতীয় তলা ভবনের ছাদে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধ মনি আক্তার একই গ্রামের মিনহাজুর রহমানের মেয়ে।
দগ্ধ মনি আক্তারকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।মনির শরীর ৬০ শতাংশ ঝলসে গেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বড় কলাগাও গ্রামের হাজী সহিদ ওরফে তোতলা সহিদ এর ছেলে আনোয়ার হোসেন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দোতালা ভবনের ভিতরে বিদ্যুতের মেইন লাইনের তার কসটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে দোতালা ভবনের ছাদ নির্মাণ করেন।বাড়ীর ছাদে উঠার সিড়ি খোলা পেয়ে বাচ্চারা সেখানে খেলতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে ধরলে বিদ্যুতের সক খেয়ে দোতালার ছাদ থেকে নিচ তলায় পড়ে গুরুতর আহত হয় শিশুটি। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আহত মনিকে উদ্ধার করে চান্দিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে ভবন মালিক আনোয়ার হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ফোনটি অন্য একজন রিসিভ করে আনোয়ার এখানে নাই বলেই কেউ ফোন কেটে দেয়।পরে ভবন মালিক আনোয়ারের বাবা হাজী সহিদেরর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা চান্দিনা পল্লী বিদ্যুতের লিখিত অনুমতি নিয়ে বাড়ী নির্মাণ করেছি। বিদ্যুৎ অফিসের লোক এসে এই তারে কসটেপ পেঁচিয়ে দিয়ে গেছে।
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার উল্লাহ মুঠো ফোনে জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত শিশু মনিকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছি।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভবনটি নির্মাণের সময় ভবন মালিক আনোয়ার বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর জন্য কোনো আবেদন করেনি।দূর্ঘটনার বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি।আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. আবুল ফয়সল বলেন, আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করব।
Leave a Reply