( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লায় নতুন করে শ’নাক্ত হয়েছে ১১৭ জন। সিটি করপোরেশন- ৫৫, বুড়িচং- ৪, লাকসাম- ৬, বরুড়া- ৩,মুরাদনগর- ৩, চৌদ্দগ্রাম- ৩, মনোহরগঞ্জ- ১২, সদর দক্ষিণ- ৮, হোমনা- ৪, তিতাস- ১০, দাউদকান্দি- ৭, চান্দিনা- ২
।এই আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২ হাজার১ শ ২৫ জনে । গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ৩৬ জন। চৌদ্দগ্রাম- ৮, মনোহরগঞ্জ- ১, সদর দক্ষিণ- ৯, নাঙ্গলকোট- ৪, আদর্শ সদর- ১০, হোমনা- ১, বুড়িচং- ৩। মোট সুস্থ হয়েছে ৫শ ৫ জন ।
কুমিল্লা নতুন করে আরও ৫ জনের মৃ’ত্যু হয়েছে । মুরাদনগর- ১ (কুমিল্লা মেডিকেলে), চৌদ্দগ্রাম- ১ (কুমিল্লা মেডিকেলে)
সিটি করপোরেশন- ৩ (কুমিল্লা মেডিকেলে)। মোট মৃত্যু সংখ্যা ৫৯ জন। সর্বমোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬শ ৯৫ টি , ফলাফল এসেছে ১৩ হাজার ৪৫ টি। মঙ্গলবার (১৬ জুন ) সিভিল সার্জন কার্যালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বরুড়া :
১। মরিয়ম বেগম(২৮) জিনসার।২। আজমির (৩৩)নলুয়া চাঁদপুর। ৩। পপি আক্তার(৩৫)কাছিয়াপুকুরিয়া।৪। শেফালী (৪৫)বরুড়া পৌরসভা। ৫। শাহজাহান(৬৫)বরুড়া পৌরসভা। বরুড়ায় মোট সনাক্ত হয়েছে প্রায় ৬৪ জন সুস্থ হয়েছে ১৩ জন।
বুড়িচং:
মঙ্গলবার নতুন করে যারা সনাক্ত হয়েছেন তারা হলো১,ফজলুর রহমান, গ্রাম, পূর্ণমতি. বুড়িচং সদর।২,বিল্লাল হোসেন. গ্রাম, বুড়িচং, সদর।৩,নিপু আক্তার,গ্রাম, বুড়িচং, সদর.।৪,ফরহাদ উদ্দিন, ভরাসার, ষোলনল।
বিস্তারিত আসছে…….
করো’না সংক্রমন প্রতিরোধে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৪ টি ওয়ার্ডকে লকডাউন করা হবে। আগামী ২০ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে। আজ মঙ্গলবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
মঙ্গলবার সকালে শুরু হওয়া জরুরী সভা শেষে কুমিল্লা সদর আসনের সাংসদ ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে নগরীর ৩, ১০, ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ডকে আগামী ১৯ জুন রাত থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে। এ সময় জরুরী সেবার অংশ হিসেবে হসপিটাল ছাড়া বাকি সব বন্ধ থাকবে। এমনকি কোন ডাক্তার চেম্বার করতে পারবে না। ঔষদ ও মুদি দোকান খোলা থাকবে।
৩ নং ওয়ার্ড = কালিয়াজুরী মৌজা, রেইসকোর্স/ পুলিশ লাইন শাসনগাছা মৌজা (আংশিক) ও ছোটরা মৌজা (আংশিক) [ অর্থাৎ উত্তরে- ভাটপাড়া রাস্তা ও ভাটপাড়া মৌজার সীমানা,
পূর্বে- শহীদ সামছুল হক রোড ও কালিয়াজুরী রোড এবং বি’ষ্ণুপুর মৌজার সীমানা, দক্ষিণে- ঢাকা চট্টগ্রাম ট্যাংক রোড, পশ্চিমে- ধানমণ্ডি রোড হয়ে শাসনগাছা ডাক বাংলো রোড।]
১০ নং ওয়ার্ড= ঝাউতলা (ছোটরা ও কান্দিরপাড় মৌজার অংশ), বাগিচাগাঁও (কান্দিরপাড় মৌজার অংশ) [ অর্থাৎ উত্তরে- ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্র্যাঙ্ক রোড,
পূর্বে- শহীদ কবির উদ্দিন সড়ক ও লাকসাম রোড, দক্ষিণে- নজরুল এভিনিউ, মদিনা মসজিদ রোড হয়ে কান্দিরপাড় লেন, পশ্চিমে- (বাগিচাগাঁও রাস্তা) লেঃ কর্ণেল মোস্তাক আহমদ সড়ক।]
১২ নং ওয়ার্ড = উত্তর চর্থা মৌজা ও বজ্রপুর মৌজার অংশ [ অর্থাৎ উত্তরে- ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্র্যাঙ্ক রোড,
পূর্বে- সার্কুলার রোড (আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী সড়ক) উত্তর চর্থা রোড, দক্ষিণে- সার্কুলার রোড (কামাল উদ্দিন চৌধুরী ও হোচ্ছাম হায়দার চৌধুরী সড়ক), পশ্চিমে- রেজাশাহ বোগদাদী সড়ক হোচ্ছামিয়া হাই স্কুলের উত্তর দিকের রাস্তা হয়ে নানুয়া দীঘির পশ্চিম উত্তর কোণ হয়ে ইউসুফ স্কুল রোড রাজগঞ্জ চৌমুহনী।]
১৩ নং ওয়ার্ড = দক্ষিণ চর্থা [ অর্থাৎ উত্তরে- সার্কুলার রোড (কামাল উদ্দিন চৌধুরী ও হোচ্ছাম হায়দার চৌধুরী সড়ক,
পূর্বে- মুরাদপুর জিনার পুকুর পাড় হয়ে নওয়াব বাড়ী চৌমুহনী, দক্ষিণে- ড. আখতার হামিদ খান রোড/ ইপিজেড রোড, পশ্চিমে- কুমিল্লা লাকসাম রোড।]
সভায় জানানো হয় লকডাউনে থাকা ওই চারটি ওয়ার্ডের পরিবারের জন্য জেলা প্রশাসন ১০ কেজী করে চাল দিবেন। এছাড়া তেল ডাল,পেয়াজসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী দিবেন সাংসদ হাজী বাহার। সভায় আরো জানানো হয়, ডিসি অফিস থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের কার্ড দেয়া হবে। লকডাউনকরা সময়ে সার্বক্ষনিক পাহারা দেওয়ার বিষয়টি স্ব-স্ব এলাকার কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। লকডাউনের আওতায় থাকা এলাকায় শুধু এটিএমে আর্থিক লেনদেন করা যাবে। কোন প্রকার ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে না।
জে’লা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর জানান, লকডাউনে থাকা নগরীর অন্যান্য এলাকায় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পুলিশ সুপার মোঃ সৈয়দ নুরুল ইস’লাম আইনশৃং’খলা পরিস্থিতি মনিটরিং করবেন। এছাড়াও পুলিশ সুপার কার্যালয় স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ও করবেন। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, সেনাবাহিনীর সাথে র্যাবের যৌথ সমন্বয় থাকবে।
অন্য এলাকা কেন লকডাউন করা হবে না এমন প্রশ্নের বিষয়ে সাংসদ বাহার বলেন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সমন্বয় করেছি। তারা বলেছেন বেশী আক্রান্ত এলাকাগুলো লকডাউন করা হলে আমা করা যায় করোনা সংক্রমনের পরিমান কমবে। অন্য এলাকার জন্য কি নির্দেশনা থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে জে’লা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর বলেন,জেলার সবাই শতভাগ সরকারী স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে।
সভায় জানানো হয়েছে কারো কোন উপস’র্গ না থাকলে করোনার পরীক্ষা না করানোর জন্য। এ সময় কোন চাকুরীজীবীকে জোর করে কাজে না আনার জন্য মালিক কিংবা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেযা হবে।
সভায় করোনা আক্রান্ত ও রোগীর বিষয়ে ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডাঃ মজিবুর রহমান ও জেলার ক’রোনা প্রতিরোধ কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ডাঃ নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াতুজ্জামান, ৩১ বীরের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মাহবুব আলম, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মীর শাখাওয়া, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরসহ স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply