-লালমাই প্রতিনিধি
কুমিল্লা লালমাই উপজেলার ডাকাতিয়া নদীতে দীর্ঘদিনেও সেতু নির্মাণ করা হয়নি। স্বেচ্ছাশ্রমে উপজেলার পাড়া ভাবকপাড়া ও শেরপুর গ্রামের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোই হাজারো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু দিয়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ নদী পার হয়। ভুক্তভোগীরা এই নদীতে সেতু নির্মাণে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাকই উত্তর ইউনিয়নের পাড়া ভাবকপাড়া ও পেরুল উত্তর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের পাশ দিয়ে ডাকাতিয়া নদী প্রবাহিত।
অনেক দাবির পরেও জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসন কেউই ওই নদীর উপরে সেতু নির্মাণ করেনি। স্থানীয় লোকজন নিরুপায় হয়ে নদী পারাপারের জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন ওই সাঁকো দিয়ে শিকারীপাড়া, পাড়া ভাবকপাড়া, কচরাইশ, শেরপুর,জয়নগর, আলীশ্বর, শানিচো গ্রামের বিভিন্ন পেশার হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন।
প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নদীর পশ্চিম পারে ৩৬০ আউলিয়ার একজন হযরত শাহ আলী হুজুরের সমাধি। প্রতি বছর মাঘ মাসের ৫ তারিখ সমাধিস্থলে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে প্রায় ২৫ হাজার লোক সমাগম ঘটে। নদীর পূর্ব পাড়ে রয়েছে দীনিয়া মাদ্রাসা।
ওই স্থানে এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি একটি ব্রিজ নির্মাণ।
শিক্ষক সালাউদ্দিন বলেন, এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে কয়েকটি গ্রামের শিক্ষার্থীদের লালমাই, বাগমারা, লাকসাম কলেজ ও আলীশ্বর, হরিশ্চর স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। এ ছাড়া মালামাল ও কৃষিপণ্য পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
লালমাই উপজেলা প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী জানান, ডাকাতিয়া নদীর ওপর আরসিসি সেতু বা বেলি ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা আপাতত নেই। তদন্ত সাপেক্ষে জনস্বার্থে সেতুটি নির্মাণ করা হতে পারে।
Leave a Reply