1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় ৫ অটো রিকশা যাত্রী নিহত; আহত ৩ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগরের কমিটি ঘোষণা কেন্দ্র ঘোষিত কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পাল্টা কমিটি গঠন কুমিল্লা নগরীতে শ্যালিকার বসতজমি দখলের অভিযোগ! সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে রিসোর্স পার্সন পিএসসির সচিব ড. সানোয়ার জাহান ভূইয়া ফের ভর্তি পরীক্ষা চালু হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে কুমিল্লা মেডিকেলে পদযাত্রা ও বৈজ্ঞানিক সেমিনার কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন দিবস পালন স্ত্রীসহ সাকিব আল হাসানের ব্যাংক হিসাব জব্দ কুমিল্লায় জমজম ট্রাভেলস্ বিডি’র প্রি-হজ্ব সেমিনার অনুষ্ঠিত

কুমিল্লায় করোনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৪৩; নতুন আক্রান্ত ২৬, মৃত্যু ২ !

  • প্রকাশ কালঃ সোমবার, ৮ জুন, ২০২০
  • ৯৩৪

অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে চান্দিনা ও লালমাই নতুন করে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে । এই নিয়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ জনে । সোমবার নতুন ৫ উপজেলায় আরও ২৬ জন আক্রান্ত । এর মধ্যে চান্দিনা- ৬, মনোহরগঞ্জ- ৩, দাউদকান্দি- ১১, তিতাস- ৩, বুড়িচং- ৩ আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ হাজার ৪শ ৫৬ জন ।

গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে আরও ২৩ জন এর মধ্যে নাঙ্গলকোট- ৬, দেবিদ্বার- ১, আদর্শ সদর-১৫, চান্দিনা- ১ । মোট সুস্থ হয়েছে ২ শ ৪০ জন ।

সর্বমোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৩শ ৬৩ জন, ফলাফল এসেছে ১০ হাজার ৪শ ৪৫ জনের।সোমবার (৮ জুন ) সিভিল সার্জন কার্যালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

উপজেলার সর্বমোট আক্রান্ত সংখ্যা:
সিটিতে ২২৯ ,দেবিদ্বার ১৯২ জন, মুরাদনগরে ১৬২ জন, লাকসামে ১০২ জন, বুড়িচং ১০১ জন, চৌদ্দগ্রামে ৯৭ জন, কুমিল্লা সদর ৭০ জন, চান্দিনা ১২৯ জন, নাঙ্গলকোটে ৭৩ জন, দাউদকান্দি ৫২, জন, ব্রাহ্মণপাড়া ৩৩ জন, তিতাস ৩৪ জন, মনোহরগঞ্জে ২৭ , হোমনা ২৬ , সদর দক্ষিন ৩২ জন, লালমাই ১১ জন, বরুড়া ২৯ জন, মেঘনা ২১ জন ।

যেভাবে করোনা ভাইরাস ছড়ায়

যেভাবে করোনা ভাইরাস ছড়ায় : বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, এ ভাইরাসটি একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে। করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়।

লক্ষণ সমূহ :১. জ্বর ও কাশি। ২. শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া। ৩. অরগ্যান ফেইলিওর বা দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া। ৪. ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় পাঁচ দিন লাগে। প্রথম লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। তারপর দেখা দেয় শুকনো কাশি। এক সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট।

ভ্রমণসংক্রান্ত পরামর্শ : যেহেতু এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাইরাস এবং এর ভয়াবহতা ও বিস্তার সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে জানা এখনো সম্ভব হয় নাই, তাই ভ্রমণকালীন বিশেষ করে চীন থেকে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ থেকে চীনে ভ্রমণকারীগণ সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকার জন্য স্বাভাবিক শ্বাসতন্ত্রেও প্রতিরোধব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অথবা কিছুদিনের জন্য বেশি জরুরি কিছু না হলে চীন ভ্রমণে বিরত থাকাই ভালো।

ভাইরাস থেকে বাঁচতে যা যা করতে হবে : ১. আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে দুই হাত দূরে থাকতে হবে। ২. বারবার প্রয়োজনমতো সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা, বিশেষ করে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে কিংবা সংক্রমণস্থলে ভ্রমণ করলে। ৩. জীবিত অথবা মৃত গৃহপালিত/বন্যপ্রাণী থেকে দূরে থাকা। ৪. ভ্রমণকারীগণ আক্রান্ত হলে কাশি শিষ্টাচার অনুশীলন করতে হবে (আক্রান্ত ব্যক্তি হতে দূরত্ব বজায় রাখা, হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা, হাত ধোয়া, যেখানে-সেখানে কফ কাশি না ফেলা)।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থাদি : ১. দেশের বিভিন্ন স্থল/নৌ ও বিমানবন্দরগুলোতে ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহে সতর্কতা ও রোগের সার্ভেল্যান্স জোরদার করা হয়েছে। ২. হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন প্রবেশপথগুলোতে নতুন করোনা ভাইরাস স্ক্রিনিং কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের সাতটি প্রবেশপথে ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে আক্রান্ত দেশ থেকে আগত রোগীদের স্পর্শ না করে জ্বর পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ৩. বিমানবন্দর স্ক্রিনিং কার্যক্রম এই পর্যন্ত (২৭ জানুয়ারি, ২০২০) ২ হাজার ৪৭০ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। ৪. নতুন ভাইরাস সম্পর্কে চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ৫. চিকিত্সা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ রোগ প্রতিরোধী পোশাক (PPE) মজুত রাখা হয়েছে। ৬. কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড নভেল করোনা ভাইরাস রোগীদের জন্য রেফারেল হাসপাতাল হিসেবে নির্দিষ্ট রাখা। ৭. হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরসহ কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা। ৮. বিমানের ভেতরের আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত শনাক্তকরণের জন্য বিমানের ক্রুদের মাধ্যমে যাত্রীদের মধ্যে হেলথ ডিকলারেশন ফর্ম ও প্যাসেঞ্জার লোকেটের ফর্ম বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৯. ঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ভাইরাস প্রতিরোধসংক্রান্ত গাইডলাইন প্রস্তুত করা হয়েছে এবং দ্রুত যোগাযোগের জন্য আইইডিসিআরে মোট চারটি হটলাইন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। (হট লাইন নাম্বারসমূহ: +৮৮০১৯৩৭০০০০১১/ +৮৮০১৯৩৭১১০০১১/ +৮৮০১৯২৭৭১১৭৮৪/ +৮৮০১৯২৭৭১১৭৮৫) ১০. গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে অবহিত করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মাধ্যমে প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে। ১১. সব জেলার সিভিল সার্জনদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য এবং চিকিত্সার লক্ষ্যে প্রয়োজনে পৃথক ওয়ার্ড/বেডের ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চিকিত্সা এবং শনাক্তকরণের জন্য গৃহীত কার্যক্রম : ১. দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউতে কর্মরত চিকিত্সকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ২. ক্লিনিক্যাল ব্যবস্থাপনা প্রণয়ন করা হয়েছে। ৩. আইইডিসিআর ল্যাবরেটরিতে এই ভাইরাস শনাক্তরকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৪. WHO এবং US CDC-এর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চিকিত্সা ও ল্যাবরেটরি শনাক্তকরণে সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। ৫. আইইডিসিআর Corona Control Room খোলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটর করছে।

অতীতের মার্স করোনা ভাইরাস (MERS—CoV) এবং সার্স করোনা ভাইরাস (SARS—CoV) থেকে বলা যায় সামনের দিনগুলোতে আরো মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। মানুষের ভৌগোলিক অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে যে কোনো সময়ে এই রোগ বাংলাদেশে প্রবেশ করার আশঙ্কা আছে। তাই এদেশে রোগটি যাতে আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেতে না পারে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews