(অমিত মজুমদার, কুমিল্লা)
খাল খননের জন্য ১৫ কোটি ৫৬ লাখ ৫ হাজার টাকা টেন্ডার হয়েছে । জাইকা থেকে বহু চেষ্টা করে টাকা এনেছি। এই টেন্ডারটি হলে আমি নিশ্চিয়তা দিতে পারে এই শহরে আর পানি থাকবে না। কুমিল্লার নগরীর উন্নয়ন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন কুমিল্লা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
মেয়র সাক্কু বলেন, খাল গুলো যদি আমরা খনন না করি যত বড়ই ড্রেন করি না কেন, পানি গুলো খালে না গেলে তো জলাবদ্ধতা থেকেই যাবে। খান গুলো আমাদের ড্রেন থেকে ৫-৬ ফুট উপরে আছে। আমি নিজেই কই রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা। আমি প্রতিদিনই ঘুরি। ড্রেন নির্মাণ যেখানে শেষ হচ্ছে সেখানে রাস্তার কাজ শুরু করছি। ইতিমধ্যে বাগিচাগাঁ রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। আমি চেষ্টা করছি অতি দ্রুত কাজ শেষ করতে , তবে বৃষ্টির কারণে কাজে সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি এ বার ৫০% কাজ শেষ করে দিতে পারব।
নির্বাচনের সময় জলাবদ্ধতা নিরসনের কথা বলেছি। ইনশাল্লাহ, দায়িত্ব পাওয়ার পর জাইকা-বিশ্বব্যাংক ও নিজস্ব ফান্ড থেকে ড্রেন ও রাস্তার কাজ অলেরেডি শুরু করেছি। কাজ করার কারণের জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। এই জন্য আমি দুঃখিত। একটা কিছু পাওয়ার জন্য কষ্ট করতে হবে। শহরের উপরে যেসব ড্রেন ছিল সরু, সেগুলো ডাবল করার চেষ্টা করছি। রাস্তা যেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। যে স্থানে বেশি জলাবদ্ধতা হয় সে দিকে আমরা আরসিসি করার চেষ্টা করছি। যে স্থানে জলাবদ্ধতা কম হয় সেখানে কাপের্টিং হবে। ড্রেনের আগে রাস্তা করলে তো রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে। রাস্তাগুলোর টেন্ডার হয়ে রয়েছে।
যেসব রাস্তায় ড্রেন করা লাগবে না ইতিমধ্যে ৭টি রাস্তা সংস্কার করে ফেলেছি। যেসব রাস্তায় ড্রেনের কাজ চলছে, ড্রেনের কাজ শেষ হলেই অতি দ্রুত রাস্তার কাজ শুরু হবে। বাগিচাগাঁ, কান্দিরপাড়, ওমেন্স কলেজ রোডসহ কয়েকটি রোডে আরসিসি করা হবে।
বৃষ্টিটা অতি তাড়াতাড়ি হচ্ছে। আমাদের চিন্তা ছিল জুন মাস পর্যন্ত সময় পাব। তারপরও আমাদের ঠিকাদাররা নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমিও নিজে কাজের তদারকি করি । চেষ্টার ত্রুটি হচ্ছে না। আবারও বলি একটা কিছু পাওয়ার জন্য কষ্ট করতে হবে। কাজ চলছে, কোন স্থানে কাজ বন্ধ নেই। কাজ গুলো সমাপ্ত করতে পারলে ইনশাল্লাহ জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। আশা করি এই বছরেই সব গুলো কাজ শেষ করতে পারবো।
১শ ৮০ কোটি টাকার কাজ নিয়ে আমরা নেমেছি। সবগুলোই কাজেই টার্চ হয়েছে। এর মধ্যে এলইডি লাইট ওআছে ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকার। শহরের ২২ ফুট পর পর পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। এগুলো হবে অত্যাধুনিক।
Leave a Reply