(তপন সরকার, হোমনা)
কুমিল্লার হোমনায় মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশে দেয়ার জেরে ফের হামলার আশংকা করছে নয়াকান্দি গ্রামবাসি । ২০ এপ্রিল ভাষানিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রাম থেকে ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশে দেয় গ্রামবাসি । এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৭ মে, মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে গ্রামবাসির ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । এতে ১২ জন আহত হয়। ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক । এ ঘটনায় ২৬ জন মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তারা পালিয়ে পাশবর্তী উপজেলা মুরাদনগের বিভিন্ন গ্রামে অবস্থান করছে । গ্রামবাসির আশংকা যে কোন সময় তারা গ্রামে হামলা করতে পারে এমনকি তাদের স্ত্রীদের দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করতে পারে।এ ভয়ে গ্রামের অনেক যুবক বাড়িতে থাকতে ভয় পাচ্ছে ।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নয়াকান্দি সমাজ কল্যাণ পরিষদে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ আশংকার কথা জানান তারা । গ্রামবাসির পক্ষে ডা. আবদুল হাই লিখিত বক্তব্যে বলেন,,নয়াকান্দি গ্রামে দীর্ঘদিন যাবত রোশন আলী, রুবেল,আমিন, জালাল,আইয়ুব খান আনরুল সহ ২০/২৫ জনের একটি চিহিৃত গ্রুপ এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে ইভটিজিং, নারীনির্যাতন, চাঁদাবাজি সহ মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে আসছে । তাদের ভয়ে কেহ মুখ খুলতে সাহস পায় না ।
গত ২০ এপ্রিল ৩ মাদকব্যবসায়ীকে মাদকসহ আটক করে পুলিশে দেয় গ্রামের যুবসমাজ । ঐ ঘটনার পর থেকে গ্রামবাসির সাথে মাদক ব্যাবসায়দের বিরোধ চরম আকার ধারন করে। এ ঘটনার জের ধরে গত ২৭ মে বুধবার সন্ধ্যায় রাস্তার একা পেয়ে নয়াকান্দি ইঠভাটার মালিক আওলাদ হোসেনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে তার ১১ লাখ টাকা ছিনাইয়া নিয়ে যায় । খবর পেয়ে গ্রামবাসি আওলাদকে উদ্ধার করতে আসলে গ্রামবাসির সাথে তাদের সংঘর্ষ বাধে ।এতে আওলাদ হোসেন, শরীফ ও আক্তার হোসেন সহ ১২ জন আহত হয় । এদের মধ্যে আওলাদ হোসেন, আক্তার হোসেন ও শরীফকে আশংকা জনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। তারা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে । থানায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে । ৩ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ ।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য মো. জালাল হোসেন, ডা. আবদুল হাই, আছাদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জালাল উদ্দিন, হাজী আবদুল হাকিম, মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আ.আউয়াল, মো. রুহুল আমিন, মো. এলাহি ভ’ইয়া, আ. বাতেন, মো. সুন্দও আলী, মো. দানু মিয়া সহ এলাকার শতাধিক গ্রামবাসি এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার কোন সুযোগ নেই । মাদকের বিষয়ে কোন ছাড় নেই । সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
২৭ মে এর সংঘষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ৩ জনকে গেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে । বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান।
Leave a Reply