অনলাইন ডেস্ক:
নতুন কুমিল্লায় আসা ৪৭টি রিপোর্টে মধ্যে দাউদকান্দির একজন প জিটিভ পাওয়া গেছে । তিনি দাউদকান্দি স্বা স্থ্য কম প্লেক্সের কর্মচারীর বলে জানা গেছে ।
করোনা সনাক্ত রোগী সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে। গতকাল শুক্রবার ৫৯ রি পোর্টে মধ্যে কোন রোগী করো নায় স নাক্ত হয়নি। সকাল ১১ টার সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী এই তথ্য নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয় । তবে কুমিল্লার মেঘনায় প্রথম বারের করোনা সনা ক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে তাবে এখনও সিভিল সার্জন কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার ছিল ১৬ জন করোনা রোগী সেখানে এক দিনের ব্যবধানে বুধবার রাতে হয়ে ২৮ জনে । বৃহস্পতিবার আরো ২ জন বেড়ে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০ জনে। তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসকও রয়েছেন। নতুন আ’ক্রান্ত দুইজনই নারায়নগঞ্জ ফেরত।
তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজে’লার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দোখাইয়া গ্রামে। অন্যজনের বাড়ি দাউদকান্দি পৌর এলাকার সাহাপাড়ায় গ্রামে।
কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.মো. শাহাদাত হোসেন এ কথা নিশ্চিত করেছেন। কুমিল্লা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, কোভিট ১৯ নামের এই করোনা ভাইরাসের কারণে ১৮ এপ্রিল শনিবার দুপুর পর্যন্ত কুমিল্লা জে’লায় মোট ৪ হাজার ৭৩০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে ৩ হাজার ৩৮৩ জনকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছে ১ হাজার ৩৪৮ জনকে। শনিবার পর্যন্ত কুমিল্লা জে’লার ১৮টি উপজে’লা থেকে ৪৫৬ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।
এ মধ্যে ২৯৬ জনের রিপোর্ট এসেছে। এই ২৯৬ জনের মধ্যে ক’রোনা স’নাক্ত বা পজেটিব এসেছে শনিবার সকাল পর্যন্ত ৩১ জনের। ক’রোনা রোগীর সংখ্যার দিক দিয়ে এ পর্যন্ত কুমিল্লার ১৭টি উপজে’লার মধ্যে সবচেয়ে বেশী স’নাক্ত হয়েছে তিতাস উপজে’লায়।
বুধবার এক দিনেই কুমিল্লায় ১২ জন ক’রোনা রোগী স’নাক্ত হওয়ার খবরে জে’লা জুড়ে আ’তংক দেখা দেয়। তবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারে নতুন ২ জন স’নাক্ত হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে কুমিল্লার জনগনের মধ্যে।
লাকসাম উপজে’লা স্বাস্থ্য কর্মক’র্তা ডা. মো. আবদুল আলী জানান, এই প্রথম লাকসামে ক’রোনায় আ’ক্রান্ত ব্যক্তি স’নাক্ত হয়েছে। তিনি নারায়নগঞ্জে থাকতেন।
লাকসামে এসে তিনি আ’ক্রান্ত হয়েছেন। এই পর্যন্ত সংগ্রহকৃত ১২টি নমুনার মধ্যে একজন পজেটিভ এবং ৮টি নেগেটিভ ফলাফলা এসেছে।
দাউদকান্দি উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মক’র্তা ডা. মো. শাহিনুর আলম সুমন জানান, আ’ক্রান্ত ব্যক্তি স্থানীয় বাসিন্দা হলেও ৫দিন আগে তিনি নারায়নগঞ্জে আত্মীয়র বাড়ি থেকে দাউদকান্দিতে এসেছেন।
কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ক’রোনা প্রতিরো’ধে আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে নানা উদ্যোগ গ্রহন করছি। কিন্তু জনগন যদি সচেতন না হয় তাহলে আমাদের কোন উদ্যোগই কার্যকর হবে না। তিনি জনগনকে ঘরে থাকার আহবান জানান।
Leave a Reply