অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লা জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় আরো ২ জনের ক’রোনা শনাক্ত হয়েছে। বুধাবার দুপুরে জে’লা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কুমিল্লার বিভিন্ন উপজে’লায় ক’রোনা ভা’ইরাসের সং’ক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার নতুন করে এ তালিকায় যুক্ত হলো বরুড়া উপজে’লার নাম। গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত হওয়া একজনের বাড়ি বরুড়ায়।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় একজন নারীর ক রোনা রি পোর্ট পজেটিভ পাওয়া গেছে। বুধবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।আ ক্রান্ত নারী উপজেলার খোশবাস (উঃ) ইউনিয়নের কেমতলী গ্রামের বাসিন্দা ।
জানা গেছে, ওই নারী গত দিন পূর্বে ঢাকা মিরপুর বোনের বাড়ি থেকে তার বাবার বাড়িতে আসেন। পরে পাশের দুই বাড়িতেও নারী বিভিন্ন প্রয়োজনে যান। তার পরিবারের বাবা ও ভাই ও পাশের দুই প্রতিবেশীর পরিবারের লোকজনও প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বরুড়া বাজারসহ বিভিন্ন হাটে বাজারে ও কর্মস্থলে যাতায়াত করেন।
অপরজনের বাড়ি তিতাস উপজেলায় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর আগে মঙ্গলবার এক দিনেই জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ছয়টিতে নয়জন আ’ক্রান্ত হয়েছিলেন।
এ পর্যন্ত কুমিল্লার মোট ৮টি উপজে’লায় ক’রোনা আ’ক্রান্ত পাওয়া গেছে। এর ফলে জে’লা জুড়ে আ’তঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পর কুমিল্লার পরিস্থিতিও ভয়বহ হয়ে পড়ছে।
জানাগেছে, কুমিল্লার চান্দিনায় মঙ্গলবার এই প্রথম ক’রোনা রোগী শ’নাক্ত হয়। শ’নাক্ত হওয়া তরুণীর বয়স ১৯ বছর। সে উপজে’লা সদরের মধ্য বাজারে অবস্থিত একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাব টেকনেশিয়ান।
মঙ্গলবার তার ক’রোনা পরীক্ষার রিপোর্টে পজেটিভ ফলাফল আসে। তবে ক’রোনা আ’ক্রান্ত ওই রোগীর কোনো উপসর্গ দেখা দেয় নি। চান্দিনা উপজে’লা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মক’র্তা ডা. আহসানুল হক জানান, রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল। তাকে চিকিৎ’সা পদ্ধতি ও পরাম’র্শ দেয়া হয়েছে।
আ’ক্রান্ত তরুণীটি অবিবাহিত। ওই রোগী শ’নাক্ত হওয়ার পর আ’ক্রান্তের এতবারপুরে তার গ্রামের বাড়িতে ৬টি পরিবারকে লকডাউন করে চান্দিনা উপজেলা প্রশা’সন। এছাড়া তাকে বহনকারী পার্শ্ববর্তী মধুসাইর গ্রামের একজন রিকশা চালকের ১টি পরিবারও লকডাউন করা হয়।
উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাযায়, দেবীদ্বার উপজে’লার নবিয়াবাদ গ্রামের ক’রোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত রোগী জীবন কৃষ্ণ সাহার মৃ’ত্যুর আগে গত ৪ এপ্রিল চান্দিনার দত্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কয়েকটি পরীক্ষা করিয়েছিলেন। এসময় ওই মেয়েটি পরীক্ষার জন্য রোগীর র’ক্ত সংগ্রহ করেছিল।
অপরদিকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজে’লার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের টাকুই ভূইয়া বাড়ীর এক যুবক গত ১১ এপ্রিল নারায়নগঞ্জ থেকে তার বাড়ীতে আসে। নারায়নগঞ্জে ক’রোনা ভা’ইরাসের প্রকোপ বেশী হওয়ায় ব্রাহ্মণপাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মক’র্তাসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা তাৎক্ষনিক ওই বাড়ীতে পৌছে।
এরপর ঐ যুবকসহ তার পরিবারের ৬ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠান। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য কর্মক’র্তার কাছে সুমনের ক’রোনা ভা’ইরাসের রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজে’লার রাজারখলায় এক যুবক নারায়ণগঞ্জ থেকে আসেন। সেখানে তার রুম মেট ক’রোনায় আ’ক্রান্ত হয়ে মা’রা যান।
এরপর সে বিজয়পুর ইউনিয়নের ঐ গ্রামে চলে আসে । ক’রোনা পরীক্ষায় তার ফল পজেটিভ আসে। তিনি ক’রোনায় আ’ক্রান্ত। ঐ যুবক বিভিন্নস্থানে ঘুরতেন এবং মসজিদের না’মাজ পড়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ক’রোনাভা’ইরাসে তিতাস উপজে’লায় তিনজন, দাউদকান্দিতে দুজন, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, চান্দিনা ও সদর দক্ষিণে একজন করে আ’ক্রান্ত হন।
জে’লা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জে’লায় এ পর্যন্ত ১৮ জন আ’ক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে তিতাস উপজে’লায় আ’ক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা সাত (বাবা, মেয়েসহ), বুড়িচংয়ে চারজন (একই পরিবারের তিনজনসহ)। এর মধ্যে দেবীদ্বার উপজে’লার বরকামতা ইউনিয়নের জীবন কৃষ্ণ সাহা নামের একজন মা’রা গেছেন।
Leave a Reply