অনলাইন ডেস্ক:
বান্দরবানের থানচিতে শিক্ষকের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় রবিবার (২৭ মে) নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। থানছি থানায় করা ওই মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে থানছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার জানান, থানছির বড় মদক ভেতর পাড়ার বাসিন্দা জুম চাষির মেয়ে। পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। সে ওই পাড়ার বৌদ্ধবিহারের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতো। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওই ছাত্রী নিজ স্কুলের সহকারী শিক্ষক সাইন থোয়াই মারমারের কাছে প্রাইভেট পড়ত।
এ সুযোগে ওই শিক্ষক গেল এপ্রিল মাসে ওই ছাত্রীকে দুইবার ধর্ষণ করে। যার ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা গত বুধবার বড় মদক থেকে থানছি এসে বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমার কাছে বিচার দিলে তিনি বিষয়টি মীমাংসার জন্য সময় নেন।
তবে শনিবার পর্যন্ত বিষয়টির কোনো সুরাহা না হওয়ায় রবিবার শিশুটির বাবা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানকেও আসামি করা হয়।নির্যাতিতার বাবা জানান, অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাগ্নে হওয়ায় বিচার দেয়ার পরও তিনি বিচার না করে উল্টো প্রভাব বিস্তার করায় তাকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, বিষয়টি নিয়ে সোমবার প্রথাগত সামাজিক বিচারের আয়োজন করা হয়েছিল।তবে থানায় মামলার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।তাসলিমা জানিয়েছে, রহিম তাকে ভাওতা দিয়ে মিথ্যা বলে নিয়ে এসেছে। সে মনিরামপুরের বালিয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
আব্দুর রহিম স্বীকার করেছে যে তার দুই বিয়ে। এখন বয়স ৪০। বাড়িতে দুটি সন্তানও রয়েছে তার। পেশায় ভ্যান চালক।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, নোটারি পাবলিক থেকে বিয়ের চেষ্টার সময় নবম শ্রেণীর ছাত্রীসহ মোট তিনজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply