অনলাইন ডেস্ক:
ময়মনসিংহের ত্রিশালে মক্তব শিক্ষক ও মসজিদের ইমামের কাছে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ৪র্থ শ্রেণি এক ছাত্রী। লোকলজ্জার ভয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ঐ শিক্ষার্থী।শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। পুলিশ অভিযুক্ত ইমাম মোবারককে আটক করেছে।জানা যায়, উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের গয়সাপাড়া কাওরানবাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও মক্তব পড়াতেন বালিপাড়া ইউনিয়নের বাবুল মিয়ার ছেলে মোবারক হোসেন (২৮)। শনিবার সকালে মক্তব ছুটির পর পানি নিয়ে মক্তবে যায় শিক্ষার্থী। বের হতে দেরি হচ্ছে দেখে তার চাচা সেলিম ভেতরে উঁকি দিয়ে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে। পরে সেলিম বিষয়টি মসজিদ-মাদ্রাসার সভাপতি, এলাকাবাসী ও মেয়ের বড় ভাই জিলানী জানায়।
লোকলজ্জার ভয়ে আনুমানিক ১০টার দিকে সবার চোখের আড়ালে ঘরে গিয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিশোরী। টের পেয়ে বড় ভাই দরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সোহাগী কাওরানবাড়ী নজরুল ইসলামের মেয়ে। সে গয়সাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।প্রসঙ্গত, মোবারক ৬ বছর আগে গয়সাপাড়া এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করেন। সেই সুবাদে গত বছর কাওরানবাড়ী জামে মসজিদের ইমামতি ও মক্তবে চাকরি পান তিনি। সহপাঠি রিনি জানায় মোবারক প্রায়ই এমন আচরণ করতো সোহাগীর সাথে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামী মোবারক হোসেনকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল কাদের জিলানী বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় বিকেলে মামলা দায়ের করেছে।সোহাগীর বড় ভাই জিলানী জানান, সকালে নাস্তা করে আর ঘরে শুয়ে থাকলে হঠাৎ মায়ের চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি সোহাগী ঘরের দরজা লাগিয়ে রেখেছে। আমাদের ডাকে সারা না দিলে দরজা ভেঙ্গে দেখি ঘরের আড়ার সাথে ফাসিতে ঝুলছে। পরে আমরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই।
ত্রিশাল থানা পরিদর্শক জাকিউর রহমান জানান, প্রতিদিনের ন্যায় মাদ্রাসায় পড়তে গেলে এ ঘটনা ঘটে। আমরা আসামীকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে আটক করেছি।
Leave a Reply