(ওমর ফারুক হৃদয়, কুমিল্লা)
দেশে করোনাভাইরাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রত্যেকের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজমান। সব শ্রেণী-পেশার মানুষই করোনা আতঙ্কে ভুগছে। খেটে খাওয়া মানুষ ও নিম্নবিত্তদের মধ্যে খাদ্য সংস্থানের দুঃশ্চিন্তা কাজ করছে। যাদের অঢেল অর্থকড়ি রয়েছে তাদের অনেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে স্টক করেছে। তাদের বেশি বেশি কেনাকাটার সুযোগে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
এতে বিপদে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ ও নিম্নবিত্তরা। মানবিক কারণে বিত্তবান ও সামর্থ্যবানদের এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। তাদের উপলব্ধি করে এগিয়ে আসা প্রয়োজন তাই শেখ হাসিনা আপা’র ডিজিটাল পাঠশালার সিনিয়র সহ-সভপিতি, বাংলাদেশ-আমেরিকান এগ্রো (প্রাঃ) লিমিটেড এর ডিরেক্টর ও সমাজ সেবক বিশিষ্ট শিল্পপতি হালিমা খাতুন (মনা ফাত্তাহ্) বরাবরই নিজ অবস্থান থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান।
কিছুদিন আগেও তিনি অসহায় নারীদের মাঝে ২৫টি সেলাই মেশিন বিতরণ করেন এটি তার নিয়মিত মানবিক সেবার অংশ। এছাড়া মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা, সেবায় তিনি নিয়োজিত। এছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে কুমিল্লা নগরীর অসহায় মানুষ গুলো বেকার হয়ে পড়ায় তিনি কুমিল্লা নগরীর মানুষেদের পাশে দাড়ান তিনি। তিনি এখন পর্যন্ত ২ লক্ষ টাকা দান করেন। এছাড়া গত ২৩ মার্চ কুমিল্লা নগরীতে সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করেণ শেখ হাসিনা আপা’র ডিজিটাল পাঠশালার থেকে।
হালিমা খাতুন (মনা ফাত্তাহ্) বলেন, আমি আমার সামর্থ্যেরে মধ্যে থেকে এ ব্যবস্থা করেছি।করোনাভাইরাসের এই মহাদুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের সাধ্যানুযায়ী দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করি। এটা সাহায্যের ব্যাপার নয়, এটা মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়, মানবিকতার বিষয়। তিনি বলেন, সরকার তার মতো করে কাজ করছে। আর এ কাজ সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। এ কাজে প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে। সম্মিলিতভাবে এই মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে হবে। পাশাপাশি আমরা মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করি, তিনি যেন এই ভয়াবহ করোনাভাইরাস থেকে আমাদের রক্ষা করেন। তিনি প্রত্যেককে সচেতন ও সতর্ক হয়ে চলাফেরা করার জন্য আহবান জানান
Leave a Reply