(মাহফুজ নান্টু, মাসুদ আলম, কুমিল্লা)
কুমিল্লা জেলায় ১ হাজার ৮৭ জন জন ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যক্তি প্রবাসী। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ইতোমধ্যে তারা বাংলাদেশে এসেছেন।
রবিবার সকাল ১২টায় কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় ১ হাজার ৮৭ জন জন ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে বলে জানান কুমিল্লার সিভিলে সার্জন ডাঃ মোঃ নিয়াতুজ্জামান । তিনি বলেন, গত ১ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার জন প্রবাসী বিভিন্ন দেশ থেকে কুমিল্লায় এসেছেন। এ পর্যন্ত কোনো আক্রান্ত না থাকলেও কুমিল্লা করোনা ভাইরাসে ঝুঁকিতে রয়েছে।
করোনা সংক্রমন সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে কুইক রেসপন্স করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসাসহ সার্বক্ষনিক পরিস্থিতি মনিটরিং করবে কুইক রেসপন্স টিম।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জামেরী হাসান জানান, আমাদের যে পরিমান ব্যক্তিগত নিরাপদ সরঞ্জামি (পিপিই) প্রয়োজন এ মুহুর্তে তা শতভাগ নেই। সরকার জানতে চেয়েছে আমাদের কি পরিমান পিপিই প্রয়োজন,আমরা সে হিসেবে জানিয়ে দিয়েছি। তবে এ মুহুর্তে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা স্থানীয়ভাবে পিপিই সংগ্রহ করেছি। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আশা করি আগামী দু একদিনের মধ্যে আমাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি এসে পৌঁছাবে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃআবুল ফজল মীর জানান, করোনা প্রতিরোধে আমাদের প্রচার প্রচারনা, বাজার মনিটরিংসহ সামগ্রিক কার্যক্রম অব্যহত আছে।
তিনি আরো জানান,গত ১ মার্চ থেকে ১৯মার্চ পর্যন্ত ১৫ সহস্রাধিক প্রবাসী কুমিল্লায় এসেছে। এখন পর্যন্ত কেউ আক্রান্ত হবার খবর পাইনি। ৯ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সবার ফলাফল নেগেটিভ আসছে। আমরা প্রবাসীসহ দেশে অবস্থান করা সবার বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি। প্রশাসন করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুত। তবে আমাদের প্রস্তুতি তখনি সফল হবে যখন জেলাবাসী আমাদেরকে শতভাগ সহযোগীতা করবে। জেলাবাসী যত বেশী সচেতন হবে করোনার প্রভাব ততই কম হবে।
Leave a Reply