অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পশ্চিম পাশের পাহাড়ে আগুন লাগিয়ে পুড়ানো হয়েছে। আজ দুপুরে সাড়ে ১২ টার দিকে পাহাড়ের গাছপালায় এ আগুন লাগানো হয়।সরেজমিনে দেখা যায়, পাহাড়ের সবুজ উদ্ভিদ ও গাছপালা আগুনে পুড়ে ভষ্ম হয়ে যায়। এসময় বঙ্গবন্ধু হলের কর্মকর্তা – কর্মচারীদের প্রচেষ্টায় দুপুর ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে গাছপালার পাশাপাশি বসবাসরত পাখি এবং কীটপতঙ্গগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও এই আগুন যদি যথাসময়ে নিয়ন্ত্রণ করা না যেত তাহলে বড় ধরনের একটা দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের।
বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. রাসেল মিয়া বলেন, “গাছপালা আমাদের বেঁচে থাকার অক্সিজেন যোগান দেয়। কিন্তু এভাবে পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের নামে উদ্ভিদরাজি পুড়িয়ে ফেলা, বৃক্ষরাজি বিনষ্ট করা এটাতো বর্বরতার নামান্তর। পরিষ্কারের আরও অনেক পন্থা আছে কিন্তু এভাবে কেন পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্যের সভাপতি সাজ্জাদ বাসার বলেন, “গাছপালা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই অন্যান্য ক্যাম্পাসে গাছপালা সংরক্ষণের জন্য নানা পরিকল্পনা করা হয়। আর আমাদের কুবিতে বারবার কেনো এভাবে আগুন লাগিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের নামে গাছপালা, উদ্ভিদরাজি পুড়িয়ে ফেলা হয় তা বুঝি না। সবুজ অভয়ারণ্যের সাথে এমন নিষ্ঠুরতা কাম্য নয়। প্রশাসনের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে প্রাকৃতিক পরিবেশ এভাবে না পুড়িয়ে সংরক্ষণ করুন।”
আগুন লাগার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট শাখার সেকশন অফিসার মো. শাহ আলম খান বলেন, “আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগুন লাগাই নি। বহিরাগতদের বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকে হয়ত আগুন লাগতে পারে। ক্যাম্পাসের কোথাও আগুন লাগলে আমরা খবর পাওয়ার পর ওইটা নেভানোর চেষ্টা করি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, “এখানে কারা আগুন লাগিয়েছে আমরা সে বিষয়টি জানি না। সেখানে অনেক পাখি, পোকা-মাকরসহ অনেক জীব ছিল সেগুলো আগুন দিয়ে পুরিয়ে ফেলার মত অমানবিক কাজ প্রশাসন কখনো করবেনা। প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত যদি প্রশাসনের কেউ আগুন লাগিয়ে থাকে তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। আর বাহিরের কেউ এ কাজ করলে আমরা আইনি পথে আগাবো।”
Leave a Reply