আবু সুফিয়ান রাসেল, কুমিল্লা:
পাশের দেশ ভারতে এ সংক্রামক ছড়িয়ে পড়েছে। কুমিল্লা সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এটিও ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়াও এ জেলার ১১ শতাংশ মানুষ প্রবাসী হওয়ায় ঝুঁকি আরো বেশী। এ বিষয়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। কুমিল্লায় একজন সন্দেহভাজন প্রবাসী রয়েছে। রোগীদের চিকিৎসায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ১৫ শয্যার ইউনিট খোলা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত কুমিল্লায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোন রোগীর তথ্য আমাদের জানা নেই। একজন ব্যক্তির মধ্যে এ ভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। তিনি প্রবাসে ছিলেন। মেডিকেল টিম পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। যদি তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তবে তাকে ঢাকা আইইডিসিআরে পাঠানো হবে।
এছাড়া জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে আমরা প্রচারপত্র বিতরণ করেছি। জেলার সকল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নির্দেশিকা প্রেরণ করা হয়েছে। বিশেষ মেডিকেল টিম রয়েছে। যদি কোন ব্যক্তির মাঝে এ রোগের কোন লক্ষণ দেখা যায়, আমাদের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলো।
এদিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য পৃথক ভাবে এ হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৫ শয্যা দেওয়া হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয়, আমরা তা বিবেচনা করবো। এখন পর্যন্ত কোন রোগী ভর্তি হয়নি। কোন রোগীর তথ্য আমাদের কাছে নেই।
Leave a Reply