অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার হোমনায় এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৬) গণধ’র্ষণের ঘটনায় করা চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান আসামি ও পরিকল্পনাকারী জুয়েল রানাকে (২৩) গ্রেফ’তার করেছে র্যাব। সে উপজেলার জয়পুর গ্রামের মো.জয়নাল আবেদিনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার।
তিনি জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জুয়েল রানা তার সহযোগীদের নিয়ে ওই ছাত্রীকে গণধ’র্ষণ পর পলাতক ছিল। এ ঘটনায় হোমনা থানায় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা রুজু হয়। এরপর গত বুধবার রাতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মামলার প্রধান আসামি ও ধ’র্ষক জুয়েল রানাকে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালি থানার আলেখারচর এলাকা হতে গ্রেফ’তার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফ’তার আসামি স্বীকার করে যে, গত ২/৩ মাস যাবৎ ভিক’টিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে আসছিল। গত ২১ ফেব্রুয়ারি আসামি তার অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ভিক’টিমকে ধ’র্ষণের পরিকল্পনা করে।
পরবর্তীতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জুয়েল রানা ভিক’টিমকে মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ওই দিন ভিক’টিম তার দুই বোনের সঙ্গে গ্রামের ফকির বাড়িতে অনুষ্ঠিত বাৎসরিক ওরশ দেখতে যায়। ওরশ দেখে রাত আনুমানিক ৮টার পর ভিক’টিম তার দুই বোনের সঙ্গে বাড়ি ফেরার সময় আসামি জুয়েল রানা ভিক’টিমের সঙ্গে কথা বলার অজুহাত দেখিয়ে ভিক’টিমকে তার বোনদের থেকে কৌশলে নিয়ে যায়। জুসের সাথে ঘুমের ঔ’ষধ মিশিয়ে কৌশলে ভি’কটিমকে খাওয়ায়। পরবর্তীতে আ’সামী মোঃ জুয়েল রানা (২৩) এবং তার ৫/৬ জন সহযোগী ভি’কটিমকে মৃ’ত মাওলানা মনিরুল ইস’লাম এর ছেলে মোঃ আরিফুল ই’সলামের পরিত্যা’ক্ত ঘরে নিয়ে টিন কেটে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে। পরে গণধ’র্ষণের শিকার হয় ভিক’টিম।
লে. কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার আরো জানান, আসামি ও তার অন্যান্য সহযোগীরা রাতভর পালাক্রমে ধ’র্ষণ শেষে ভোররাতে ভিক’টিমকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিক’টিমের মা বাদী হয়ে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি হোমনা থানায় একটি ধ’র্ষণ মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকেই ধ’র্ষক মো. জুয়েল ও তার অন্যান্য সহযোগীরা পলাতক ছিল। গ্রেফ’তার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
Leave a Reply