নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে বুধবার দুপুরে মো: রাসেল নামে প্রতিবন্ধী অটোবাইক চালককের সাথে ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআই জীবনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি কুমিল্লা জেলা পুলিশের নজরে আসলে পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম দুই পক্ষকে কার্যালয়ে নিয়ে সমাধান করেন এবং প্রতিবন্ধী রাসেলের সকল বক্তব্য শুনে তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
পরবর্তীতে কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: নাজমুল হাসান, ট্রাফিক ইনচার্জ কামাল হোসেন যৌথ ভাবে প্রতিবন্ধী রাসেলের খোঁজ খবর নেন ও আগামীতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে অটোচালক রাসেল বলেন, ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ কর্মকর্তারা রাত থেকে যোগাযোগ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে এসে কয়েক ঘন্টা আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান দেন এবং আমার যে কোন সমস্যায় জেলা পুলিশ আমার পাশে থাকার আশ্বাস দেন। আমি পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই আমার মতো প্রতিবন্ধীর পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য। কুমিল্লাবাসী ও জাগো কুমিল্লার সাংবাদিক অমিত মজুমদার ও দুর্নীতির সন্ধানের ম্যাক রানা শুরু থেকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন কর্ম করে সৎ ভাবে চলতে পারি।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘটনাটি নজরে আসার সাথে সাথে গুরুত্ব সহকারী নেয়া হয়েছে। দুই পক্ষের কথা শুনে বিষয়টি সমাধান করা হয়। চালককে মারধর কিংবা ইজিবাইক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বাবা হারা প্রতিবন্ধী রাসেলকে মানবিক কারণে আমরা কখনও অটো চলাচলে বাধা দেইনি। অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য জেলা পুলিশ মর্মাহত। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply