অনলাইন ডেস্ক:
চৌদ্দগ্রাম উপজে’লা থেকে মানব পা’চারকারী চক্রের তিন সক্রিয় সদস্যকে আ’টক করা হয়েছে। এ সময় তরুণীসহ তিনজন রোহিঙ্গাকে উ’দ্ধার করা হয়েছে।
অ’ভিযানে মানব পা’চারকারীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান ভুয়া পাসপোর্ট, ভুয়া জন্মসনদপত্র, পাসপোর্ট তৈরির ভুয়া কাগজপত্র পাওয়া যায়।
এছাড়া সার্টিফিকেট তৈরির কাজে ব্যবহৃত তিনটি কম্পিউটার, দুইটি প্রিন্টার, একটি স্ক্যানার, সাতটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৬০ হাজার ৫৪০ টাকা উ’দ্ধার করা হয়।
সোমবার সকাল ১১টায় কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ নগরীর শাকতলায় র্যাবের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং করে অ’ভিযানের বিষয়টি জানানো হয়।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধরকড়া বাজার ও চিওড়া এলাকায় এ বিশেষ অ’ভিযান পরিচালনা করা হয়।
কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব জানান, আ’টক হওয়া আ’সামিরা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্র’লোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর উদ্দেশে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে এসে বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করে মালেশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পা’চার করে আসছিল।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থা’নায় মা’মলা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া উ’দ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা মেয়েটির ভু’য়া জন্মসনদ উ’দ্ধার করা হয়, যা এই পা’চারকারী চক্র তৈরি করে তা দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে পা’চার করা চে’ষ্টা করছিল।
আ’টক হওয়া মানব পা’চারকারীরা হলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাপড়চতলী গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে আব্দুর রহিম ওরফে রুবেল (২৫), ফজলুল হকের ছেলে নুরুল হক (২৯) ও উপজেলার ডিমাতলী গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে কাজী ফয়সাল আহাম্মেদ ওরফে রনি (৩২)।
উ’দ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন, বালুখালীর পানবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর অ’জ্ঞাতপরিচয় এক তরুণী, ট্যাংখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৯ এর মোহাম্ম’দ আমির হোসেনের ছেলে জাহেদ হোসেন (২৫) এবং উখিয়ার কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সি/৩ এর হাকিম শরিফের ছেলে রফিক (৩৭)।
Leave a Reply