(শরীফ আহমেদ মজুমদার, নাঙ্গলকোট)
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালের মালিক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডাক্তার জহির উদ্দিনের দায়ের করা মামলা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
গত শনিবার বিকালে কুমিকের এসিস্ট্যান্ট অফিসার ডাক্তার জহির উদ্দিন বাবর স্থানীয় একটি মসজিদ থেকে আসরের নামাজ আদায় করে বের হলে কয়েকজন কয়েকজন তার উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় দুইজনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার দ্বিতীয় আসামী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি এঘটনার সাথে জড়িত নয়। জেনারেল হাসপাতালের মালিক স্বপনের সহযোগীতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি নাঙ্গলকোট পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালের মালিক ও উপজেলা প্রাইভেট ক্লিনিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। কমিটি নির্বাচনের সময় নাঙ্গলকোট জেনারেল হাসপাতালের মালিক কামরুল হাসান স্বপনও একই পদে নির্বাচন করে আমার কাছে পরাজিত হয়। আমাদের মধ্যে ব্যবসায়ী বিরোধ ও রয়েছে। তখন থেকে আমাকে ঘায়েল করার জন্য স্বপন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ফন্দি আঁটে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সাইফুল কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে।
মামলার বিষয়ে ডাক্তার জহির উদ্দিনের বলেন, হামলার সময় একজনকে চিনতে পেরেছি। ঘটনায় সময় সাইফুল ছিল না। তবে আমার ধারণা তার পরিকল্পনায় আমার উপর হামলা করা হয়েছে। কারণ সে আমাকে জোর পূবর্ক তার হসপিটালের চেম্বারে বসার জন্য বার বার চাপ দিয়েছে। আমার ধারণা আমি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার সাইফুলের নির্দেশে আমার উপর হামলা করা হয়েছে, তাই তাকেও আসামী করে মামলা করেছি। বাকিটা পুলিশ তদন্ত করবে।
এদিকে নাঙ্গলকোট জেনারেল হাসপাতালের মালিক কামরুল হাসান বলেন, মামলা করার সাথে তিনি জড়িত নয়। পরিকল্পিত ভাবে আমাকে জড়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মামুন অর রশিদ পিপিএম বলেন, হামলাকারীকে গ্রে’ফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাকে গ্রে’ফাতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যাবে হামলার সাথে আর কারা জড়িত।
Leave a Reply